নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ পঞ্চম অধ্যায় হিসাব এর পোস্ট এ সবাইকে স্বাগতম। শিক্ষার্থী বন্ধুরা যারা আগের ক্লাসগুলো শেষ করেছো, তারা নিশ্চয়ই হিসাববিজ্ঞানের বহুনির্বাচনী অংশে আত্মবিশ্বাস দিন দিন বৃদ্ধি করে তুলছো।
সে যাইহোক, এই পোস্ট এ আলোচনা হবে পঞ্চম অধ্যায় ‘হিসাব’ নিয়ে। চটপট শিখে নাও!
নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ অধ্যায় ৫ম
হিসাব
- হিসাব বলতে বুজায়- লেনদেনের শ্রেণিবদ্ধ ও সংক্ষিপ্ত বিবরণী।
- হিসাব রাখলে ব্যবসায়ের লাভ-ক্ষতি বের করা যায়।
- হিসাব রাখার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায় ক্ষেত্রে।
- হিসাবের পাতার ডান দিককে বলে- ক্রেডিট।
- হিসাবের পাতার বাম দিককে বলে- ডেবিট।
- ‘T’ হিসাব ছকের প্রত্যেক পাশে কলাম থাকে- চারটি করে মোট ৮টি।
- ডেবিট ও ক্রেডিট সঠিকভাবে নির্ধারণের জন্য প্রয়োজন- হিসাবের শ্রেণীবিভাগ জানা।
- সম্পদ হিসাবের উদাহরণ- আসবাবপত্র, নগদান, যন্ত্রপাতি, দালানকোঠা, সুনাম, বিনিয়োগ, ট্রেডমার্ক, ইজারাসম্পত্তি ইত্যাদি।
- মালিকানাস্বত্ব হিসাবের উদাহরণ- মূলধন, উত্তোলন।
- ব্যয় হিসাবের উদাহরণ- ক্রয়, সুদ, বিজ্ঞাপন, অনাদায়ী পাওনা, বেতন, বাট্টা, অবচয়, অবলোপন, মজুরি, ভাড়া, পরিবহণ ইত্যাদি।
- হিসাব সমীকরণ ভিত্তিতে হিসাবখাতকে সাধারণত পাঁচ শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়।
- সুনাম সম্পদ হওয়ার কারন- এটি মুনাফা অর্জনে সাহায্য করে।
- সুনাম একটি অস্পর্শনীয় সম্পদ।
- রেভিনিউ বা আয় হিসাবের উদাহরণ- প্রাপ্ত বাট্টা, বিক্রয়, প্রাপ্ত ভাড়া, প্রাপ্ত কমিশন, প্রাপ্ত সুদ ইত্যাদি।
- চলমান জের ছকে মোট টাকার ঘর থাকে- ৪টি।
- চলমান জের ছকে ঘর থাকে- ৭টি।
- হিসাব সমীকরণের সঠিক প্রকাশ হলোঃ সম্পদ= দায় + মালিকানাস্বত্ব
- প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি খাতের ক্রমাগত পরিবর্তন ও নিট পরিমাণ জানার জন্য প্রস্তুত করা হয়- হিসাব।
- প্রতিষ্ঠানের অলস অর্থ দীর্ঘমেয়াদের জন্য বিনিয়োগ করা হলে তা হয়- সম্পদ।
- চলমান জের ছক অনুসরণ করে হিসাবের উদ্বৃত্ত নির্ণয় করা হয়- প্রতিটি লেনদেন লিপিবদ্ধের পোর।
- ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হিসাবের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো- আর্থিক ফলাফল ও অবস্থা নিরূপণ করা।
- প্রচারণার ও প্রচারের জন্য যেকোনো মাধ্যমে অর্থ ব্যয় করাকে বলে- বিজ্ঞাপন(Advertisement)।
- দেনাদার হতে পাওনা টাকা দ্রুত আদায়ের জন্য কিছু ছাড় দেয়া হলে তাকে বলে- প্রদত্ত বাট্টা।
- পাওনাদারকে দেনা পরিশোধের সময় কিছু টাকা পাওয়া গেলে বা কম পরিশোধ করতে হলে তাকে বলে- প্রাপ্ত বাট্টা।
- কোনো প্রতিষ্ঠানের কাগজ, কলম, পেন্সিল, ফাইল কভার ইত্যাদি ক্রয় করা হলে, লিপিবদ্ধ করতে হয়- মনিহারি হিসাবে।
- স্থায়ী সম্পদের ব্যবহারজনিত কারণে মূল্য হ্রাস পেলে, হ্রাস প্রাপ্ত অংশের জন্য লিপিবদ্ধ করতে হয়- অবচয় হিসাবে।
- বিলের মাধ্যমে বিক্রয়, দেনাদার হতে বিলে স্বীকৃতি লাভ, বিলের অর্থ আদায়, বিল বাট্টাকরণ, বিল প্রত্যাখ্যানজনিত কারণে যাবতীয় বিষয় লিপিবদ্ধ করা হয়- প্রাপ্য বিল হিসাবে।
- কোন লেনদেন দ্বারা ব্যাংকের জমাকৃত টাকা হ্রাস বা বৃদ্ধি পেলে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়- ব্যাংক হিসাবে।
- অফিস সাপ্লাইজ হিসাবে লিপিবদ্ধ করতে হয়- ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, স্টেপলার, পেপার ওয়েট ইত্যাদি।
- পণ্য নগদে, চেকে বা ধারে ক্রয় করা হলে এবং চুরি, নষ্ট বা বিতরণ করা হলে তা লিপিবদ্ধ করতে হয়- ক্রয় হিসাবে।
- পণ্য নগদে, চেকে বা ধারে বিক্রয় করা হলে লিপিবদ্ধ করা হয়- বিক্রয় হিসাবে।
- অফিস সরঞ্জাম হিসাবে লিপিবদ্ধ হবে- কম্পিউটার, এসি, ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার ইত্যাদি।
আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো নবম দশম শ্রেণীর অথবা এসএসসির কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড এর শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আসবে।
বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত তথ্যগুলো হিসাববিজ্ঞানের যেকোনো মৌলিক জ্ঞান মেটাবে। তাই, ভার্সিটি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরও উপকারে আসতে পারে।
My Blog: Bangla Book Download
Leave a Reply