নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ দ্বাদশ অধ্যায় পারিবারিক ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক উদ্যোগের হিসাব

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ একাদশ অধ্যায় পণ্যের ক্রয়মূল্য, উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্য এর বহুনির্বাচনী বা নৈর্ব্যত্তিক সাজেশন লিখতে যাচ্ছি। আশা করি নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপকারী হবে।

আর হ্যাঁ, ইউনিভার্সিটি এডমিসন পরীক্ষায় হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে প্রস্তুতিতেও এই পোস্ট টি হেল্পফুল হবে। বই পড়তে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন Bangla Books PDF থেকে।

যাইহোক, চলুন শুরু করা যাক!

নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ অধ্যায় ১২তম

পারিবারিক ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক উদ্যোগের হিসাব

  • হিসাব নিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবার হচ্ছে- একটি অমুনাফাভোগী চলমান প্রতিষ্ঠান।
  • পারিবারিক হিসাব ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য- আয় বুঝে ব্যয় করা।
  • পারিবারিক হিসাব নিকাশের ক্ষেত্রে লাভক্ষতির প্রশ্ন নেই কারণ- পরিবার অমুনাফাভোগী চলমান প্রতিষ্ঠান।
  • পারিবারিক হিসাব পেশ করতে হয়- কারও নিকট নয়।
  • পারিবারিক হিসাব রাখলে সঞ্চয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
  • সঞ্চয়ের প্রবণতা পারিবারিক হিসাব নিকাশের একটি- প্রয়োজনীয়তা।
  • বাজেটের উদ্দেশ্য- ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা।
  • সরকার, আত্মীয়-স্বজন, শিষ্য বা মুরিদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সাহায্য বা দান- পারিবারিক আয়।
  • পারিবারিক আয় আসে- পরিবারের আয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে।
  • পরিবারের সদস্যদের পেশা থেকে যে অর্থ প্রাপ্তি ঘটে তা- পারিবারিক আয়।
  • গায়কের জ্ঞান গেয়ে প্রাপ্ত অর্থ- পেশা হতে আয়।
  • বাসস্থান খাতে ব্যয়- ৩০% থেকে ৪০%।
  • বস্ত্র খাতে ব্যয়- ৫% থেকে ২৫%।
  • খাদ্য খাতে ব্যয়- ২০% থেকে ২৫%।
  • পরিবারের আয়গুলো হলো- বেতন বা মজুরি, ব্যবসায় থেকে প্রাপ্ত লাভ বা মুনাফা।
  • পরিবারের দৈনন্দিন বা স্বাভাবিক সকল প্রাপ্তি বা জমাকে বলা হয়- মুনাফাজাতীয় আয়।
  • মুনাফাজাতীয় পারিবারিক আয়ঃ ব্যাংক জমা টাকার ওপর প্রাপ্ত সুদ, কমিশন, প্রাপ্ত বাড়ি ভাড়া, পরিবারের সদস্যদের উপার্জিত মজুরি, বেতন, বিনিয়োগের ওপর সুদ, পণ্যদ্রব্য বিক্রয়লদ্ধ অর্থ ইত্যাদি।
  • মুনাফাজাতীয় পারিবারিক ব্যয়ঃ দৈনন্দিন বাজার খরচ, শিক্ষা খরচ, চিকিৎসা খরচ, আপ্যায়ন খরচ, দান-খয়রাত, কৃষি খরচ, যাতায়াত খরচ, মেরামত খরচ, কাপড়-চোপড় ক্রয়, পারিবারিক ঋণের সুদ প্রদান ইত্যাদি।
  • মূলধনজাতীয় পারিবারিক আয়ঃ সম্পত্তি বিক্রয় করে প্রাপ্ত অর্থ, ঋণের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ, সরকার বা সাহায্য সংস্থার নিকট থেকে প্রাপ্ত এককালীন অনুদান, অভিভাবক কতৃক নবগঠিত পরিবারকে এককালীন দান ইত্যাদি।
  • মূলধনজাতীয় পারিবারিক ব্যয়ঃ জমি ক্রয়, বাড়িঘর নির্মাণ ব্যয়, আসবাবপত্র ক্রয়, টেলিভিশন ক্রয়, ফ্রিজ ক্রয়, বৈদ্যুতিক সংস্থাপন ব্যয়, সাইকেল ক্রয় ইত্যাদি।
  • খাতা, কাগজ, পেন্সিল ও কলম প্রভৃতি খরচকে বলা হয়- মনিহারি খরচ।
  • পারিবারিক আর্থিক বিবরণীর সঠিকরূপ- প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব, আয়-ব্যয় হিসাব ও আর্থিক অবস্থার বিবরণী।
  • পারিবারিক আর্থিক বিবরণী প্রস্তুর করা হয়- ৩ টি ধাপে বা পর্যায়ে।
  • পরিবারের আয়-ব্যয় বিবরণীর আয় উদ্বৃত্ত দ্বারা সৃষ্টি হয়- পারিবারিক তহবিল।
  • আয় উদ্বৃত্ত পারিবারিক তহবিলের সাথে যোগ করা হয়।
  • পরিবারের আয়ব্যয় বিবরণীর আয়াতিরিক্ত ব্যয় দ্বারা- পারিবারিক তহবিল হ্রাস পায়।
  • পারিবারিক তহবিলঃ প্রারম্ভিক সম্পদ- পারম্ভিক দায়।
  • পারিবারিক তহবিল আর্থিক অবস্থার বিবরণীতে দেখানো হয়- দায় হিসাবে।
  • পারিবারিক আয়ব্যয় বিবরণীর ব্যয়ের দিকের যোগফল আয়ের দিকের যোগফল অপেক্ষা বেশি হলে, পার্থক্যকে বলা হয়- ঘাটতি বা আয়াতিরিক্ত ব্যয়।
  • পারিবারিক তহবিল সৃষ্টি হয়- আয় উদ্বৃত্ত দ্বারা।
  • আনুমানিক ব্যয় থেকে প্রকৃত ব্যয় কম হলে- উদ্বৃত্ত বাজেট হয়।
  • পারিবারিক বাজেট প্রস্তুত করা হয়- সপ্তাহ, মাস কিংবা বছরের জন্য।
  • নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট আয়ের ভিত্তিতে ব্যয় ও সঞ্চয় করার পূর্ব পরিকল্পনাকে বলে- বাজেট।
  • পারিবারিক ভবিষ্যৎ আয়ব্যয়ের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে পারিবারিক বাজেট বলে।
  • পরিবারের ভবিষ্যৎ আয়-ব্যয়ের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে বলে- পারিবারিক বাজেট।
  • আর্থিক সচ্ছলতা আসে- সঞ্চয়ী ও মিতব্যয়ী হলে।
  • পারিবারিক বাজেট তৈরি করার সময় উচিত নয়- অতিরিক্ত আয়ের হিসাব করা।
  • আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প তৈরি ও পরিচালনার জন্য অপরিহার্য- বাজেট এবং যথাযথ হিসাবরক্ষণ।
  • আত্মকর্মসংস্থানমূলক উদ্যোগ এর সফলতা নির্ভর করে- সঠিকভাবে আয়-ব্যয় নির্ধারণের ওপর।
  • পারিবারিক বাজেট তৈরি করা হয়- ৫ টি স্তরে

My Blog: Bangla Book

Leave a Comment