বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তাঁর অবদান তাকে অমরত্ব দান করেছে। তিনি ছিলেন প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক। বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের কর্মকর্তা, বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
অনেকেই জানেন না হয়ত- তিনি কমলাকান্ত ছদ্মনামে লিখতেন। নবম দশম শ্রেণীর পাঠ্যবই এর আলোকে তাঁর জীবনী নিয়ে তৈরি ভিডিওটি দেখে নিন-
https://www.youtube.com/watch?v=Nt4drTRbDK8
ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাঠালপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ভাইয়ের ভাষ্যমতে তিনি জীবনে কখনো পাঠশালায় যান নি, তবে পাঠশালার গুরু গৃহশিক্ষক হিসেবে তাকে পড়াতেন। একদিনেই তিনি বাংলা বর্ণমালা আয়ত্ব করেছিলেন।
১১ বছর বয়সে তিনি চৌধুরী সাহেবের ৫ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করেন। এখন এটা হাস্যকর মনে হলেও তখন স্বাভাবিকই ছিল। সরকারী কর্মকর্তা হলেও তিনি লেখক এবং হিন্দু জাগরণের দার্শনিক হিসেবে খ্যাত ছিলেন। আনন্দমঠ, দুর্গেশনন্দিনী, রাজসিংহ প্রভৃতি তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস।
যশোর এবং খুলনায় তাঁর কর্মস্থল ছিল। তাঁর লেখা বন্দেমাতরম গানটি একই সাথে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অনুপ্রেরণা এবং অনেক ধর্মীয় হানাহানি, বিভেদ ও বিদ্বেষের জন্ম দিয়েছে।
বঙ্কিমচন্দ্র বি এ পরীক্ষায় বাংলায় ফেল করেছিলেন, এবং মজার ব্যাপার হলো তার পরীক্ষক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
Leave a Reply