কেমন আছো নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা? তোমাদের জন্য তৈরিকৃত হিসাববিজ্ঞানের ধারাবাহিক সকল অধ্যায়ের উপর বহুনির্বাচনী সাজেশন এর চতুর্থ অধ্যায় নিয়ে এই পোস্ট এ সাজেশন দেয়া হবে।
আশা করছি, তোমাদের জন্য এই প্রচেষ্টা অনেক হেল্পফুল হবে।
তো! চলো, শুরু করা যাক!
নবম-দশম শ্রেণী/SSC EXAM PREPARATION
হিসাববিজ্ঞান
চতুর্থ অধ্যায়ঃ মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন
MCQ HELPLINE
- আয়-ব্যয়ের প্রকৃতি অনুসারে লেনদেনগুলোকে ভাগ করা যায়- দুই ভাগে।
- ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যে লেনদেনের ফল দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাকে বলে মূলধনজাতীয় লেনদেন।
- যেসব লেনদেনের ফল বর্তমান বছরেই শেষ হয়ে যায়, তাকে বলে মুনাফাজাতীয় লেনদেন।
- যে খরচের ফলাফল সংশ্লিষ্ট হিসাবকালে শেষ হয়ে যায়, তাকে বলে- মুনাফাজাতীয় খরচ।
- মূলধনজাতীয় লেনদেনকে ভাগ করা যায়- দুই ভাগে।
- মুনাফাজাতীয় লেনদেনকে ভাগ করা যায়- দুই ভাগে।
- নিয়মিত কারবারি আয় ছাড়া অন্যান্য আয়কে বলা হয়- মূলধনজাতীয় আয়।
- মূলধনজাতীয় ব্যয় দ্বারা সুবিধা পাওয়া যায়- বর্তমান বছরের বেশি সময়সীমা ধরে।
- মূলধনজাতীয় ব্যয়ের ফলে- সম্পত্তি অর্জিত হয় এবং সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি পায়।
- মুনাফাজাতীয় হওয়া সত্ত্বেও নির্দিষ্ট হিসাব বছরে সীমাবদ্ধ না থেকে একধিক বছরসমুহে সুবিধা পাওয়া যায় বলে এই ব্যয়কে বলে- বিলম্বিত মুনাফাজাতীয় ব্যয়।
- বিলম্বিত খরচ দেখানো হয়- আর্থিক বিবরণীর সম্পত্তির দিকে।
- বিলম্বিত মুনফাজাতীয় ব্যয় আর্থিক বিবরণীতে দেখানো হয়- সাময়িকভাবে।
- মুনাফাজাতীয় ব্যয়- প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য, ক্রয়, ক্রয় পরিবহণ, আমদানি শুল্ক, মজুরি ও বেতন, কয়লা ও গ্যাস, জলযান ভাড়া, জ্বালানি খরচ, কারখানাসংক্রান্ত খরচ, ডক চার্জ, নগর শুল্ক/ রাজসেলামি, ড্রয়িং অফিসের বেতন, গুদাম ভাড়া, কুলি খরচ, বেতন, রপ্তানি শুল্ক, ভাড়া/ অফিস ভাড়া, কারবারি খরচ, দফতর খরচ, নিরীক্ষা খরচ, অডিট ফি, কমিশন/ প্রদত্ত কমিশন, সুদ/ প্রদত্ত সুদ, বাট্টা/ প্রদত্ত বাট্টা, শিক্ষানবিশ ভাতা, খাজনা ও কর, সাধারণ খরচ, বীমা প্রিমিয়াম/ বীমা সেলামী, উপযোগ খরচ, আপ্যায়ন খরচ, কুঋণ/ অনাদায়ী পাওনা, অবচয়, অবলোপন, দস্তুরি, ব্যাংক চার্জ।
- মুনাফাজাতীয় আয়- বিক্রয়, শিক্ষনবিশ সেলামী, উপভাড়া, প্রাপ্ত ভাড়া, প্রাপ্ত সুদ, প্রাপ্ত বাট্টা, প্রাপ্ত কমিশন, বিনিয়োগের সুদ, ব্যাংক জমার সুদ, প্রদত্ত ঋণের সুদ, উত্তোলনের সুদ, ব্যাংক জমার সুদ, পুরাতন খবরের কাগজ বিক্রয়, লভ্যাংশ প্রাপ্তি, অনাদায়ী দেনা আদায়।
- মূলধনজাতীয় ব্যয়- স্থায়ী সম্পদ ক্রয়, সুদযুক্ত বিনিয়োগ, টেলিফোন/ বৈদ্যুতিক সংস্থাপন ব্যয়, নতুন সম্পত্তির সংস্থাপন ব্যয়, ক্রীত যন্ত্রপাতি কার্যোপযোগী করার মেরামত খরচ।
- মূলধনজাতীয় প্রাপ্তি- মালিক কতৃক ব্যবসায়ের প্রদত্ত মূলধন, ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণ, স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয়লদ্ধ অর্থ।
- মূলধনজাতীয় আয়- স্থায়ী সম্পত্তি বিক্রয়ের লাভ।
- নিয়মিত খরচ- মাল ক্রয়, ক্রয় পরিবহণ, টেলিফোন বিল, বিদ্যুৎ বিল, বেতন ও মজুরি, বিক্রয় পরিবহণ ব্যয়, পণ্য ক্রয়ের আমদানি শুল্ক, ঋণের সুদ, মূলধনের সুদ, বিজ্ঞাপন খরচ, রপ্তানি শুল্ক, স্থায়ী সম্পদের অবচয়, স্থায়ী সম্পদের মেরামত খরচ ইত্যাদি।
- বিশদ আয় বিবরণীতে লিপিবদ্ধ হবে- মুনাফাজাতীয় প্রাপ্তি, মুনাফাজাতীয় আয়, মুনাফাজাতীয় ব্যয়।
- আর্থিক অবস্থার বিবরণীতে লিপিবদ্ধ হবে- মূলধনজাতীয় প্রাপ্তি/আয়, মূলধনজাতীয় ব্যয়।
ধন্যবাদ শিক্ষার্থীবন্ধুদের কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য। আশা করা যায়, তোমরা যদি উপরোক্ত বিষয়সমূহ সঠিকভাবে আয়ত্তে আনতে পারো, তবে তোমরা সাফল্য নিশ্চিত করতে পারবে। মনে রাখবে, পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই।
আর যারা ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিবে, তারা কিন্তু হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ভালো প্রস্তুতির জন্য উপরোক্ত বিষয়সমূহ সঠিকভাবে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করো।
My Blog For Reading Book: Bangla Book Download PDF
Leave a Reply