জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সম্মান (অনার্স) ভর্তিতে আর পরীক্ষা হবেনা। এবার থেকে শুধুমাত্র এসএসসি ও এইচএসসি’র ফলাফলের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ১৭তম বার্ষিক অধিবেশন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতোদিন সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হত। কিন্তু এখন থেকে সেশন জট নিরসনের কথা চিন্তা করে ভর্তি কার্যক্রম এগিয়ে আনারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে প্রতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করা হবে।
১৩ জুন শনিবার সকাল ১০টায় গাজীপুর ক্যাম্পাসের সিনেট হলে এ অধিবেশন আয়োজন করা হয়। সিনেট চেয়ারম্যান ও ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে এতে মোট ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই অধিবেশনে আরো যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিচে তুলে দেওয়া হলোঃ
- এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি’র ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে , সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষে নয় বরং ভর্তি কার্যক্রম এগিয়ে এনে পহেলা ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে।
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০১৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ আইটি ভিত্তিক এবং ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার হবে ।
- সেশনজট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপের পর এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর মূল লক্ষ্য হবে শিক্ষার মানোন্নয়নে কর্মপ্রচেষ্টা নিয়োজিত করা।
- ২০১৬ সালের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
- র্যাঙ্কিং এর ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে।
- অধিবেশনে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং ১শ’ ৮১ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার রাজস্ব ও ১শ’ ৬৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার উন্নয়ন বাজেট পাস হয়।
- মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর ড. এম. এ বারীর নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভবন রয়েছে তা প্রত্যাহার করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
Leave a Reply