গাইড বই থেকে প্রশ্নকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

পাবলিক পরীক্ষায় বাজারের গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন তুলে দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (মাধ্যমিক) রুহী রহমান ২৮ মার্চ শনিবার একটি গণমাধ্যমে বলেন, গাইড বই থেকে কেন প্রশ্ন দেওয়া হলো, তা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞানের ইংরেজি ভার্সনের প্রশ্নে ‘পাঞ্জেরী’ গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।Education Ministry Of Bangladesh

গাইড বই থেকে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার বিষয়কে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরাও।

প্রশ্ন হুবহু তুলে দেওয়ার ঘটনা না শুনলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী শনিবার (২৮ মার্চ) বলেন, এটি ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক।

শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল পাবলিক পরীক্ষায় গাইড বই থেকে প্রশ্ন তুলে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একে প্রশ্ন ফাঁস থেকেও ‘গুরুতর’ বলে অভিযোগ করেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস কারা করছে সেটি ধরা সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু কারা কারা গাইড বই থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে সেটি বের করা সম্ভব।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব রুহী রহমান আরও বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় বাজারের গাইড বই নিষিদ্ধ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনাও রয়েছে।

চলমান এসএসসি পরীক্ষা শেষে সার্বিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে জানিয়ে রুহী রহমান বলেন, এরই মধ্যে গাইড বই থেকে প্রশ্নের বিষয়টির তদন্ত কাজ চলছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পদার্থ বিজ্ঞানের ৩/৪টি ভুল প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *