প্রাথমিকে শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত কুড়িগ্রামে

কুড়িগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালগুলোতে শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়াও প্রত্যন্ত চরাঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব, বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ও বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে বিদ্যালয়গুলোতে।

সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির ব্যাবস্থাপনায় জেলার চিলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত একটি নিরীক্ষা কার্যক্রমে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের মুখে রয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি নদ-নদী বেষ্টিত হওয়ায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির সময় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। স্কুলের অবকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ ও একটি শৌচাগার রয়েছে ছাত্র/ছাত্রী-শিক্ষক-শিক্ষিকার জন্য। প্রবল বৃষ্টির সময় ক্লাসের ভেতর পানি পড়ে।

খেলাধুলার জন্য কোনো মাঠ নেই, নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। স্কুল ফিডিং প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পুষ্টিহীনতা দূর হচ্ছে। ১১৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য শিক্ষক রয়েছে ৪ জন।

ঢুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে বন্যা ও অতিবৃষ্টিকালীন সময়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয় নদী পারাপার ও যাতায়াতে। বিদ্যালয়টির অবকাঠামো ভালো থাকলেও, ভালো রাস্তা-ঘাট না থাকায় সামান্য পানি বাড়তেই তা প্লাবিত হয়। ৩০৬ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৭ জন।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার পিছিয়ে পড়া জনপদের একটি স্কুল ডিএ চিলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রকট সমস্যা নিরাপদ খাবার পানির। টিউবয়েলের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক থাকায় অন্যত্র থেকে পানি এনে পান করতে হয় শিক্ষার্থীদের। খেলার মাঠ নিচু ও সংকীর্ণ হওয়ায় তা ব্যবহারের অনুপোযোগী। নেই বাউন্ডারি ওয়াল।
Kurigram
শ্রেণিকক্ষ সম্প্রসারণ ও মেরামত অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন নেই, নেই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার। প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ৪১২ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য রয়েছেন ৯ জন শিক্ষক।

চিলমারী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি উপজেলা শহরে হলেও পানিতে মাত্রাতিরিক্তি আর্সেনিক থাকায় তা পানের অনুপোযোগী। স্কুল ভবনটি ১৯৯১ সালে নির্মিত হলেও তা জরাজীর্ণ হওয়ায় বৃষ্টির দিনে ক্লাসে পানি চুইয়ে পড়ে।

সেখানে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়নি। প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষক নেই। নেই লাইব্রেরি। ন্যূনতম ৫টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন হলেও রয়েছে ৩টি। ২৫২ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য রয়েছেন ৮ জন শিক্ষক। বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রী ঝরে পড়ার সংখ্যা রয়েছে ২/৩ জন।

সৌজন্যেঃ বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *