এমবিএ শিক্ষার্থীদের সবার আগে যে ৫টি কাজ করা উচিত

mbaআপনি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে চান, চাকরিতে উন্নতি করতে চান, কিংবা নতুন ব্যবসা খুলতে চান- যে কারণেই এমবিয়ে করুন না কেন, এ সুবিধাগুলো নিতে হলে কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই পালন করতে হবে। এমবিএ শুধু কোনো ডিগ্রিই নয়, এটা তার চেয়েও বেশি কিছু। আপনার সময় ও এনার্জি ব্যয় করে অর্জিত এ ডিগ্রিকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে হলে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে হবে। ফরচুন ম্যাগাজিনে দেয়া সাক্ষাৎকারে শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও শেইলা মারসেলো এ বিষয়গুলোই তুলে ধরেছেন। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার।

১. নিজের সীমানার বাইরে আসুন

আপনি নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলেও তার বাইরের বিষয়গুলো সম্পর্কেও খবর রাখুন। মার্কেটিংয়ের কোর্স করলে যে আপনার ফাইন্যান্স সম্পর্কে কোনো জ্ঞান থাকা যাবে না, এ ধারণা বাদ দিন। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান শুধু একটা বিষয় জানা মানুষ পছন্দ করে না, তারা অনেকগুলো বিষয় জানা মানুষকে চায়। অন্য বিষয়গুলো আপনি কত তাড়াতাড়ি গ্রহণ করতে পারেন ও শিখতে পারেন এটা আপনার দক্ষতা প্রমাণ করে। অনেককিছু জানা একটা ভালো গুণ।

২. যোগাযোগ বাড়ান

আপনার যতো বেশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিচয় হবে, ততো ভালো ফলাফল পাবেন। এজন্য খারাপ লাগলেও বিভিন্ন পার্টিতে যোগ দিতে হবে। বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য আপনার নেটওয়ার্কিং বাড়াতেই হবে। এ কাজে স্বাচ্ছন্দ হলেই তা আপনার জন্য ভালো হবে। আর এর মাধ্যমে পরিচিত মানুষদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা করা যাবে না।

৩. স্টাডি গ্রুপে যোগ দিন

বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগের অংশ হিসেবে পাঠচক্র বা স্টাডি গ্রুপে যোগ দিন। এটা কোনো টিম সম্পর্কে ধারণা নিতে সাহায্য করবে। এতে বিভিন্ন মানুষের মতামত, কাজ, দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা বাড়বে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ক্রেতাদের মনোভাব ও আচরণ বোঝাও সহজ হবে।

৪. একজন বিজ্ঞ পরামর্শদাতা ধরুন

আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কোনো শিক্ষার্থী কিংবা পরিচিত কোনো সফল বিজ্ঞ ব্যক্তিকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিন। পরামর্শদাতার কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরির অফার, বেতন ও সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। এ কাজগুলো পড়াশুনা চলাকালীন করাই ভালো। কারণ পড়া শেষ করার পর এসব শুরু করলে কিছুটা দেরি হয়ে যেতে পারে। আপনার পরামর্শদাতার কাছে চাওয়া থাকবে চাকরি ও ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন সাহায্য ও পরামর্শ।

৫. সাফল্যের সংজ্ঞা নির্ধারণ করুন

সবকিছুর পর আপনার সাফল্যের সংজ্ঞা আপনার কাছেই থাকবে। আপনি যে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, তাই করুন। সে কাজ ভালোভাবে করতে পারলেই নিজেকে সফল বলে মনে করুন। অন্যের সাফল্যের সূত্র ধরে আপনার নিজেকে সফল বা অসফল মনে করার কোনো কারণ নেই।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*