![shrilonka](https://lekhaporabd.net/wp-content/uploads/2014/12/shrilonka.jpg)
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর শিক্ষাই বদলে দিতে পারে বিশ্বকে। কিন্তু শিশুকালে না বুঝে অনেকেই যেতে চান না বিদ্যালয়ে। তখন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারাটাই যেন পরম পাওয়া। তারপরে আবার যদি দুর্গম গিরি পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় বিদ্যালয়ে তবে তো কথাই নেই। বিদ্যালয় ফাঁকি দেয়ার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু এবার জানাবো ভিন্ন খবর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ে। যা দেখলে আপনি নিজেও ভয়ে তটস্থ হতে বাধ্য। দেখে নেয়া যাক বিদ্যালয়ে যাওয়ার সেরকম কিছু সড়ক।
১। কলম্বিয়ার রিও নিগরোতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য একটি সরু তার বেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ভূমি থেকে এই বিদ্যালয়টি ১ হাজার ৩০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।![noyadilli](https://lekhaporabd.net/wp-content/uploads/2014/12/noyadilli.jpg)
![noyadilli](https://lekhaporabd.net/wp-content/uploads/2014/12/noyadilli.jpg)
২। অনেকেই ট্রেন বা বাসে ঠাসাঠাসি অবস্থায় যাতায়াত নিয়ে মনক্ষুন্ন হয়ে থাকেন। তাদের জন্য থাকল এই ছবিটি। যা নিমিষেই আপনার ধারণাকে বদলে দেবে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ১টি ছোট যানে ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করছে। এটি ভারতের নয়া দিল্লির ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার দৃশ্য।
৪। শ্রীলংকায় শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ১৬ শতকের ১টি পুরনো ভাঙা দেয়াল পাড়ি দিতে হয়। আর সেই দেয়াল পাড়ি দেয়ার জন্য একটি সরু কাঠ ব্যবহার করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
৫। ফিলিপাইনের রিজাইল প্রদেশে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ির টায়ার ব্যবহার করে নদী পাড়ি দিচ্ছে ২ শিশু।
৬। চীনের হাং জিয়ান গ্রামে বিদ্যালয়ে যেতে প্রতিদিন ৬০ মিটার উচু পর্বত সিঁড়ি বেয়ে পাড়ি দিতে হয়। দেশটির সিচুয়ান প্রদেশে এক মা তার শিশুকে নিয়ে প্রতিদিন ভাঙা সেতু পাড়ি দিয়ে মেয়েকে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন।
৭। ইন্দোনেশিয়ায় চিহেরাং নদীর ১টি ভাঙা সেতু পাড় হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে হয়। এই সেতুটি দেখলে থমকে যাবেন। যে কেউ প্রাথমিকভাবে এই সেতুটি পার হতে পারবে না। এই ভাঙা সেতু থেকে পড়ে গেলে জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে। এই ভাঙা সেতুটি ছাড়াও দেশটিতে সরু দড়ির সেতু পাড় হয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে শত শত ছাত্র-ছাত্রী। এই সেতুটি পাড় হওয়ার পরেও তাদের ৭ মাইল হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪ এ পূর্বে প্রকাশিত
Leave a Reply