বিড়াল
লেখক পরিচিতি:
- নাম :বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
- জন্ম:২৬ জুন,১৮৩৮
- জন্মস্থল :পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রাম
- উপাধি:সাহিত্য সম্রাট
- ছদ্মনাম:কমলাকান্ত
- পেশা:ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট
- সম্পাদিত পত্রিকা :বঙ্গদর্শন(১৮৭২)
- প্রথম কাব্য:ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)
- উপন্যাস:১৪টি
- গ্রন্থ সংখ্যা:৩৪টি
- প্রথম উপন্যাস:দুর্গেশনন্দিনী
- রাজনৈতিক উপন্যাস: মৃণালিনী
- মনস্তত্ত্ব উপন্যাস:রজনী
- সামাজিক উপন্যাস:বিষবৃক্ষ,কৃষ্ণকান্তের উইল
- ঐতিহাসিক উপন্যাস:রাজসিংহ
- রোমান্সধর্মী উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা
- সর্বশেষ উপন্যাস:রজনী
- প্রবন্ধ :সাম্য, বিবিধ প্রবন্ধ, লোকরহস্য, কৃষ্ণচরিত্র,কমলাকান্তের দপ্তর
- ইংরেজি উপন্যাস: rajmohons wife
- হিন্দু ধর্মানুরাগীদের থেকে ঋষি আখ্যা লাভ করেন।
- ১৮৫৮ সালে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম স্নাতক দের একজন
- মারা যান ৫৬ বছর বয়সে
- মৃত্যু:: ৮ এপ্রিল, ১৮৯৪
রচনার উৎস:
- প্রবন্ধটি কমলাকান্তেদর দপ্তর গ্রন্থ থেকে সংকলিত।
- গ্রন্থটি ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত হয়
- ভাষা:সাধুরীতি
- উত্তম পুরুষের দৃষ্টিকোণে রচিত
- রস:রম্যরস
- প্রথম অংশ:নিখাদ হাস্য রসাত্মক
- দ্বিতীয় অংশ:গূঢ়ার্থে রচিত
- প্রধান চরিত্র : কমলাকান্ত, বিড়াল
- মূল প্রতিপাদ্য : দরিদ্রের অধিকার প্রাপ্তি
প্রবাদ বাক্য: ৩টি
- কেহ মরে বিল ছেঁচে,কেহ খায় কই
- পরোপকারই পরম ধর্ম”
- তেলা মাথায় তেল দেয়া”
সংখ্যাবাচক তথ্য:
- প্রবন্ধে ঐতিহাসিক চরিত্র -২টি ( নেপোলিয়ন, ওয়েলিংটন)
- মেও শব্দটি ব্যবহার হয়-১৩ বার
- বিড়াল প্রবন্ধে উল্লেখিত প্রবন্ধের সংখ্যা-৩ টি
- বিড়াল শব্দটি আছে-৯ বার
- হুকা শব্দটি আছে-৫ বার
- মার্জার শব্দটি আছে-১১ বার
- উপবাস করতে বলা হয়েছে- ৩ দিন
- কমলাকান্তের দপ্তর বিভক্ত-৩টি অংশে
বিড়াল সম্পর্কিত তথ্য:
- কমলাকান্ত কার কথা ভাবছিল -নেপোলিয়ন
- নেপোলিয়ন মারা যান-১৮২১ সালে
- ভান্ডারঘরটি-নসীরামবাবুর
- আফিম-ইংরপজি শব্দ
- বিড়াল মেও মেও করে-প্রাচীরে প্রাচীরে
- বিড়াল দূরদর্শী বলেছে-কমলাকান্তকে
- সমাজ বিশৃঙ্খলার মূল-মার্জারের কথা
- সতরঞ্জ মানে-পাশা খেলা
- বিড়াল খেয়েছে-কমলাকান্তের জন্য রাখা দুধ
- ওয়াটারলু যুদ্ধ হয়-১৮১৫ সালে
- নেপোলিয়ন জন্ম নেয়-১৭৬৯ সালে
- সামাজিক ধনবৃদ্ধি মানে ধনীদের ধন বৃদ্ধি
- কমলাকান্ত চারপায়ীর উপর বসে ঝিমাচ্ছিল
- কমলাকান্ত নিমীলিত লোচনে ওয়াটারলু যুদ্ধের কথা ভাবছিল
- কমলাকান্ত ওয়েলিংটন ভেবেছিল মার্জারকে
- কমলাকান্তের জন্য প্রসন্ন দুধ রেখেছিল
- গাভীর নাম-মঙ্গলা
- জলযোগ-হালকা খাবার
- কমলাকান্তেরর সহায়-বিড়াল
- বিড়াল অভাবী মানুষের প্রতীক
- কমলাকান্ত ধনীদের প্রতীক
- ক্ষুদ্র আলো জলছিল মিট মিট করে
- চোর অপেক্ষা শতগুণে দোষী কৃপন ধনী
- নেপোলিয়ন মারা যন সেন্ট হেলেনা দ্বীপে
- নেপোলিয়ন আধিপত্য বিস্তার করে ইউরোপে
- কমলাকান্ত অনেক অনুসন্ধানে ভগ্ন যষ্ঠি আবিষ্কার করল
- বিড়াল নিজেকে বলেছে বিজ্ঞ চতুষ্পদ
- পরাস্ত হলে বিজ্ঞ লোক উপদেশ দেয়
- মনুষ্যকুলে কমলাকান্ত কুলাঙ্গার হতে চায় না
- রচনায় বঙ্কিমের ভাষা শ্লেষাত্মক
- তেলা মাথায় তেল দেয়া মনুষ্যজাতির রোগ
- পতিত আত্মা বলা হয়- মার্জারকে
- বিড়ালের প্রশ্ন বুঝে কমলাকান্ত ভগ্ন যষ্ঠি ত্যাগ করল
- কমলাকান্তের মতে মার্জার সুবিচারক ও সুতার্কিক
- চিরাগত প্রথা অবমাননা করলে কমলাকান্ত মনুষ্যকুলে কুলাঙ্গার বলে বিবেচিত হবে আর
- বিড়াল স্বজাতি মন্ডলে কাপুরুষ বলে উপহাস করবে।
- ধনীর ধনবৃদ্ধি হলে বিড়ালের ক্ষতি নেই।
- কমলাকান্ত বিড়ালকে ধর্মাচরণে মন দিতে বলেন।
- কমলাকান্ত বিড়ালকে নিউম্যান ও পার্কের গ্রন্থ পড়তে বলেন।
- আহার হয়নি বলে কমলাকান্ত হুঁকাহাতে নিমীলিতলোচনে ভাবছিল
- শিরোমনি বলতে বোঝায় -সমাজপতি
- আহারাভাবে বিড়ালের অবস্হা -উদর কৃশ, লাঙ্গুল বিনত,অস্হি পরিদৃশ্যমান, জিহ্বা ঝুলে গেছে।
- বিড়াল কিছু খেলে শাস্ত্রানুসারে মারতে হয়।
- বিড়াল কমলাকান্ত কে প্রহার না করে প্রশংসা করতে বলে।
- চোরের দন্ড হলে দন্ড হওয়া উচিত কৃপন ধনীর।
- চুরি করার প্রয়োজন নেই বলে সাধুরা চুরি করেন না।
- কমলাকান্ত বিড়ালের কথা বুঝতে পারে দিব্যকর্ণ প্রাপ্ত হয়ে।
- দুধের উপর কমলাকান্ত ও বিড়াল উভয়ের সমান অধিকার
- মানুষ ও বিড়ালে প্রভেদ নেই-ক্ষুৎপিপাসার দিক হতে
- বিড়াল পরিতৃপ্ত হওয়ার কারনে অতি মধুর স্বরে মেও বলেছে
- বিড়াল কমলাকান্তপর তাড়া খেয়ে হাই তুলে সরে বসল
গুরুত্বপূর্ণ উক্তি
- জলযোগের সময় আসিও উভয়ে ভাগ করিয়া খাব-কমলাকান্ত বিড়ালকে,মানবিকতা প্রকাশ।
- অতএব তুমি সেই পরম ফলভোগী- কে??- কমলাকান্ত
- মার্জারী কমলাকান্তকে চিনিত-উক্তিটি প্রাবন্ধিকের
- চোরের দন্ড আছে নির্দয়তার কি দন্ড নেই-বিড়াল
- অনাহারে মরিবার জন্য কেহ এ পৃথিবীতে আসে নাই-বিড়াল
- দেখ হে শয্যাশায়ী মনুষ্য -কে?-কমলাকান্ত
- আমি তোমার ধর্ম সঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ- বিড়ালের
- মারপিট কেন??-উক্তিটি বিড়ালের
- তোমরা এতদিনে কথাটি বুঝিতে পারিয়াছ-কেন কথা-চতুষ্পদের কাছে শিক্ষা লাভ ছাড়া উপায় নেই
- পরোপকারই পরম ধর্ম-বিড়ালের
- তোমরা আমার কাছে উপদেশ গ্রহন করো-বিড়াল
- আর আমাদিহের দশা দেখ-এখানে আমাদিগের দশা হচ্ছে-বঞ্চিত,নিষ্পেষিত,দলিত মানুষের
- খাইতে দাও নাহলে চুরি করিব-অন্যায়ের প্রতিবাদ
- সামাজিক ধনবৃদ্ধি ব্যতীত সমাজের উন্নতি নাই- কমলাকান্তের
- তবে ছোটলোকের দুঃখে কাতর!ছি! কে হইবে- ছোটলোক বলা হয়েছে-দরিদ্রকে
- এ পৃথিবীর মৎস-মাংসে আমাদের কিছু অধিকার রয়েছে-মর্মাথ সমর্থনযোগ্য- স্বাধিকার চেতনা
- এ সংসারে সকলই তোমরা পাইবে আমরা কিছু পাইব না কেন??- ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে…….
পোস্ট টা পড়ার সময় বোর্ড বইটা সাথে পড়ে নিও।।আর শব্দার্থ ও টীকাসমূহ তোমরা সবাই নিজ দায়িত্বে পড়ে নিও।। প্রবন্ধ ও কবিতার সবকিছু আলোচনা করা সম্ভব না তাই আমি যতটুকু সম্ভব আলোচনা করার চেষ্ঠা করলাম।।
- এইচ.এস.সি বাংলা ১ম পত্রের সকল লেকচারশীট পেতে ভিজিট করুনঃ www.perfectschool.cf
- পারফেক্ট স্কুলের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুনঃ www.facebook.com/perfectschool.cf
Leave a Reply