জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও এক ব্যক্তিকে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম মো. রেজওয়ান পাপ্পু(৩৫)। তিনি একজন ডিমের ব্যবসায়ী। সম্পৃক্ততা না থাকলেও বিএনপির সমাবেশে ঢাকায় আসেছেন এমন অজুহাতে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকার গ্রহণে ২য় দিনে ৪ ভর্তি ইচ্ছু শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে নীলফামারি নিশাদ আহমেদ ‘এফ-ইউনিটে’ (রোল নং-৬৩২১৩৬) প্রক্সি সহায়তা নিয়ে ৪৭ তম অবস্থান করেন। ভর্তি পরীক্ষার সক্ষাৎকারের সময় হাতের লেখা ও স্বাক্ষর না মেলায় তাকে আটক করা হয়। এসময় নিশাদ এর বড় ভাই নাইমুল সরকার এবং তাদের সাথে থাকা একই এলাকার পূর্বপরিচিত মো. রেজওয়ানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশাদ ও তার ভাই নাইমুলের প্রক্সির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। রেজওয়ান নির্দোষ এবং এই ঘটনা জানেন না বলেও জানান তারা। পরে কোন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া না গেলেও পুলিশে সোপর্দ করা হয় রেজওয়ানকে।
এর আগে প্রক্টর অফিসে অধ্যাপক তপন কুমার সাহার কাছে বিভিন্ন অনুনয় বিনয় করলেও রক্ষা মেলেনি রেজওয়ানের। রেজওয়ান বলেন, “স্যার আমি অপরাধ করিনি। তারা ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করেছে জানলে আমি আসতামই না। স্যার আমার বড় ছেলে পিএসসি পরীক্ষা ১৯ তারিখ। আমাকে জেলে দিয়েন না। স্যার আমি কান ধরে বলছি স্যার ওই অপরাধির সাথে আমি আর কোথাও যাবনা স্যার।”
জানা যায়, নিশাদ এর বড় ভাই নাইমুল সরকারের ও পাপ্পু যুবদলের কর্মী হিসেবে ঢাকায় সমবেশে আসে। নাইমুল জানায় তার ছোটভাই (নিশাদ) কাল (সোমবার) সাক্ষাৎকার দিবে জাবিতে। এসময় নাইমুলের অনুরোধে জাবিতে আসে পাপ্পু, যাতে তারা এক সাথে বাড়ি যেতে পারে। এদিকে কোন ব্যক্তির অভিযোগের সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ না পেলে মুসলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত। কিন্তু রোজওয়ানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা প্রমান না থাকা সত্বেও তাকে পুলিশে দেয়ায় বিভিন্ন মহলে নিন্দা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা জানান, রোজওয়ান অভিযুক্ত নিশাদের ভাই নাইমুল সরকারের সাথে থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রক্টর তপন কুমার সাহার বিরুদ্ধে এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশী নির্যতন, শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার, নিয়োগ বানিজ্য সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।
Leave a Reply