বাংলাদেশের তরুণ সমাজের কাছে এই ব্যক্তিটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা সায়েন্স ফিকশন বা, কিশোর উপন্যাস পড়েননি এমন কাউকে খুজে পাওয়া কষ্টকর হবে। বাংলা সায়েন্স ফিকশন লেখার শুরুটা তাঁর বড়ভাই হুমায়ুন আহমেদ করলেও তিনিই বাংলায় সায়েন্স ফিকশনকে জনপ্রিয় করে তোলেন।
জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ড.মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কলামগুলো পাঠকেরা গোগ্রাসে গেলে। একাধারে লেখক, পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ, কম্পিউটারবিদ এই মানুষটিকে নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নবম ও দশম শ্রেণীর বইয়ের লেখক পরিচিতিতে কি লেখা আছে সেটা নিচের ভিডিওতে দেখে নিন
https://www.youtube.com/watch?v=L7H9QJdcPh0
লেখার শিরোনাম দেখে বিরক্তি প্রকাশের কিছু নেই, কারণ বিসিএস পরীক্ষাতেও তাঁর লেখক জীবন গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই লেখাটা যেহেতু বিসিএস প্রস্তুতি বিষয়ক ধারাবাহিক লেখার অংশ তাই এখানে তাঁর লেখক জীবন নিয়েই আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পিতার সন্তান ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলাদেশের কিশোর কিশোরীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হিসেবে পরিচিত। তাঁর প্রথম সায়েন্স ফিকশন কপোট্রনিক সুখ দুঃখ, সাদাসিদে কথা তাঁর নিয়মিত লেখা কলামের শিরোনাম। গণিত এবং বিজ্ঞান শিক্ষার উপর তাঁর একাধিক জনপ্রিয় বই রয়েছে।
কল্পবিজ্ঞান এবং কিশোর উপন্যাস ছাড়াও তিনি বড়দের উপন্যাস, ছোটগল্প, ভৌতিক গল্প, টেলিভিশন নাটক, রেডিও নাটক এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর লেখা গল্পে একাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। বাংলা একাডেমী পুরস্কার, মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ আরো অনেক পুরস্কারে তিনি ভূষিত হন।
লেখাটি পূর্বে প্রকাশিতঃ ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং বিসিএস প্রস্তুতি
Leave a Reply