আপনি কি জাপানে পড়তে জেতে চান তাহলে আসুন জেনে নিই………….
বৃত্তি নিয়ে বিদেশে যেতে চান, এমন শিক্ষার্থীরা জাপানকেই আগ্রহের প্রথম সারিতে রাখছেন। দেশটিতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্তরা বিনা খরচেই পড়াশোনা চালাতে পারছেন। আর এ সুবাদে টিউশন ফি ছাড়াই লুফে নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি। বৃত্তি পাননি, এমন শিক্ষার্থীরাও দেশটিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।
দেশভেদে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ে ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক সাইটগুলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বছরে দেড় মিলিয়নেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করতে যায়। এর মধ্যে ১,৩৮,০৭৫ জনই আসে জাপানে।
দেশটির বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ভাষা জাপানি। তবে এর পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ আছে। জাপানি ভাষা শিখেই দেশটিতে ভর্তির আবেদন করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন অভিজ্ঞরা।
জাপানি ভাষায় পড়াশোনায় খরচ কম
দেশটিতে জাপানি ভাষায় পড়াশোনায় খরচ তুলনামূলক কম। বৃত্তি ছাড়া কেউ পড়াশোনা করতে গেলে টিউশন ফি ও আনুষঙ্গিক খরচ গুণতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাচেলর পর্যায়ে নিবন্ধন ফি ও টিউশন ফি বাবদ বছরে চার থেকে ছয় লাখ টাকার সমপরিমান ইয়েন (জাপানি মূদ্রা) খরচ হবে। এ ছাড়া থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতি মাসে গুনতে হবে আরও ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা। বাড়তি আয়ের সুযোগ হিসেবে আছে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ। বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। তবে এর জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।
ভিসা যেভাবে…
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি আবেদনই কেবল গ্রহণ করে। তবে দেশটির ক্ষেত্রে ভর্তি নিশ্চিত হলেই ভিসা প্রক্রিয়ায় আর জটিলতা থাকে না। ভর্তি আবেদন করতে হয় সেশন শুরুর কয়েক মাস আগে। তবে ভর্তির আগে পড়াশোনার মাধ্যম বা ভাষা এবং খরচের ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। জাপানে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার অনেক সুযোগ আছে। অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়মিত স্কলারশিপ দিচ্ছে। এ বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে পারেন। ভর্তি আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা অনুমতিপত্র হাতে পেলেই শুরু করতে হবে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া। তাই প্রয়োজনীয় সব কাগজ আগেই প্রস্তুত রাখুন। ভিসা-সংক্রান্ত তথ্য ও আবেদনের জন্য যোগাযোগ করতে হবে জাপান দূতাবাসে। ঠিকানা : জাপান দূতাবাস, দূতাবাস সড়ক, বারিধারা, ঢাকা।
জাপান দূতাবাসের ওয়েবসাইটেও (www.bd.emb-japan.go.jp/
en/education/index.html) পাওয়া যাবে স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত দরকারি সব তথ্য।
জাপানে প্রথম সারির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়
জাপানের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য জানতে পারবেন অনলাইনে। ভর্তির আগে আবেদন প্রক্রিয়া, পড়াশোনার খরচসহ দরকারি তথ্য জেনে নিলে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হবে। জাপানের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েব ঠিকানা: এশিয়া ইউনিভার্সিটি (www.asia-u.ac.jp), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জাপান (www.iuj.ac.jp), ফুকুই ইউনিভার্সিটি (www.u-fukui.ac.jp), হিরোশিমা শুডো ইউনিভার্সিটি (www.shudo-u.ac.jp), চিবা ইউনিভার্সিটি (www chiba-u.ac.jp), আইচি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (www.aitech.ac.jp)।
Leave a Reply