জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই ভর্তি কার্যক্রমের প্রাথমিক আবেদন ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে।
আগ্রহী প্রার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে উক্ত আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন ফি বাবদ ৩০০/- (তিনশত) টাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে।
এই ভর্তি কার্যক্রমে আবেদনকারী প্রার্থীদের কোন ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে না। আবেদনকারীদের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে৷
একই অথবা দুটি ভিন্ন শিক্ষাবর্ষে কোন প্রার্থী মাস্টার্স (নিয়মিত/প্রাইভেট) অথবা মাস্টার্স প্রফেশনাল কোর্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে ভর্তি হলে তার উভয় ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। আপনাদের সুবিধার্থে ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে দেওয়া হলোঃ
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক ও তারিখসমূহঃ
- ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত গাইডলাইন ডাউনলোড করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ডাউনলোড করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- আবেদন ফরম পূরণ করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- প্রাথমিক আবেদন এর সময়সীমাঃ ০৫/০৯/২০২২ তারিখ থেকে ২০/০৯/২০২২।
- মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময়সীমাঃ০৬/০৯/২০২২ থেকে ২২/০৯/২০২২ তারিখ পর্যন্ত।
- ২য় পর্যায়ে প্রাথমিক আবেদন এর সময়সীমাঃ – তারিখ থেকে –।
- ২য় পর্যায়ে আবেদন ফরম কলেজে জমা দেওয়ার সময়সীমাঃ – তারিখ থেকে –।
- মেধা তালিকা প্রকাশঃ
- কোটার মেধা তালিকা প্রকাশঃ –।
- রিলিজ স্লিপের আবেদনের সময়সীমাঃ –।
- রিলিজ স্লিপের মেধা তালিকা প্রকাশঃ –।
- ক্লাস শুরুর তারিখঃ ১৬ অক্টোব্বর ২০২২
আবেদনের সাধারণ যোগ্যতা
ক) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৬ সাল ও তৎপরবর্তী সালসমূহে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে ন্যুনতম ৪৫% নম্বর অথবা গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতিতে ন্যুনতম সিজিপিএ ২.২৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। তবে চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় পাস ডিগ্রী প্রাপ্ত কোন শিক্ষার্থী এ ভর্তি কার্যক্রমে আবেদন করতে পারবে না।
খ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৬ সাল ও তৎপরবর্তী সালসমূহে ১ম পর্ব মাস্টার্স (নিয়মিত)/প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স (নিয়মিত) পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে ন্যুনতম ৪৫% নম্বর অথবা গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতিতে ন্যুনতম সিজিপিএ ২.২৫ প্রাপ্ত এবং তৎসংশ্লিষ্ট তিন বছর মেয়াদী স্নাতক (পাস) নিয়মিত পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে ন্যুনতম ৪৫% নম্বর অথবা গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতিতে ন্যুনতম সিজিপিএ ২.২৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। তবে এক বছর মেয়াদী ১ম পর্ব মাস্টার্স (প্রাইভেট)/প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স (প্রাইভেট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোন শিক্ষার্থী এ ভর্তি কার্যক্রমে আবেদন করতে পারবে না।
গ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স (নিয়মিত/প্রাইভেট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথবা অন্য যে কোন প্রোগ্রামে বর্তমানে অধ্যয়নরত কোন শিক্ষার্থী ২০২০- ২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবে না। এ লক্ষ্যে “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোন শিক্ষা কার্যক্রমে বর্তমানে আমি ভর্তি/অধ্যয়নরত নই। দ্বৈত ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী উভয় ভর্তি বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিতে বাধ্য থাকবো”- মর্মে আবেদনকারীর স্বাক্ষরিত একটি অঙ্গীকারনামা অনলাইন আবেদনে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। উক্ত শর্ত ভঙ্গ করে কোন শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তার উভয় ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
ভর্তি পদ্ধতি, নম্বর বন্টন ও ফলাফল
ক) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) ভর্তি কার্যক্রমে আবেদনকারীদের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক (পাস) ডিগ্রীসহ প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স (নিয়মিত)/১ম পর্ব মাস্টার্স (নিয়মিত) পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর/সিজিপিএ এর শতকরা হার অনুযায়ী মেধাক্রম নির্ধারণ করে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে বিষয়ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে। যদি দুই বা ততােধিক আবেদনকারীর মেধাক্রম একই হয় সেক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যার বয়স কম হবে তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মেধাক্রম প্রণয়ন করা হবে।
খ) আবেদনকারীরা যে কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান)/প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স (নিয়মিত)/১ম পর্ব মাস্টার্স (নিয়মিত) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারা যদি ঐ একই কলেজে প্রার্থিত বিষয়ে মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রােগ্রামে প্রাথমিক আবেদন করে থাকে, সেক্ষেত্রে এ সকল আবেদনকারীকে অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা প্রণয়ন করা হবে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক আসন শূন্য থাকলে সেক্ষেত্রে অন্যান্য আবেদনকারীদের মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেয়া হবে। এ শর্ত শুধুমাত্র ১ম মেধা তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে।
গ) ভর্তির ফলাফল পর্যায়ক্রমে প্রথম মেধা তালিকা, শূন্য আসন সাপেক্ষে দ্বিতীয় মেধা তালিকা, কোটা এবং রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে৷
ঘ) সংশিস্নষ্ট কলেজ User ID, Password ও OTP ব্যবহার করে ভর্তির বিষয়ওয়ারী ফলাফল দেখতে পারবে৷ শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের এই লিঙ্কে এবং SMS (nu<space>atmf<space>roll no টাইপ করে 16222 নম্বরে send হবে) এর মাধ্যমে অথবা সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকে ফলাফল জানতে পারবে৷
মাস্টার্স ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২০২১
আবেদনকারীর প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ সম্পর্কিত করণীয়ঃ
ক) আবেদনকারীকে এই লিঙ্কে গিয়ে এ প্রদর্শিত তথ্য ছকে প্রার্থীর স্নাতক পর্যাযের পরীক্ষার রোল নম্বর, শিক্ষা বোর্ড ও পাসের সন সঠিকভাবে এন্ট্রি দিতে হবে। রোল নম্বর, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, পাসের সন, ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল নম্বর সঠিকভাবে এন্ট্রি দিতে হবে৷
খ) এ পর্যায়ে আবেদনকারী তার ভর্তি যোগ্য (Eligible) কোর্সের তালিকা দেখতে পাবে৷ আবেদনকারী তার পছন্দ অনুযায়ী বিভাগ ও জেলাওয়ারী যে কোন কলেজের নাম Select করলে সংশ্লিষ্ট কলেজে মাস্টার্স শেষ পর্ব (নিয়মিত) কোর্সের নাম ও আসন সংখ্যা দেখতে পাবে৷ এই তালিকা থেকে প্রার্থীকে সতর্কতার সংগে তার প্রার্থিত কোর্সের পছন্দ নির্ধারণ করতে হবে।
গ) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/ আদিবাসি/ প্রতিবন্ধী/পোষ্য (Ward) কোটায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে তথ্য ছকের নির্দিষ্ট স্থানে তার জন্য প্রযোজ্য কোটা Select করতে হবে৷ কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত মূল সনদপত্র থাকতে হবে৷ একজন প্রার্থীর এক বা একাধিক কোটায় যোগ্য হলে কোটার পছন্দক্রম নির্ধারণ করে দিতে হবে৷
ঘ) ফরম পূরণের সময় আবেদনকারীর পাসপোর্ট আকারে সম্প্রতি তোলা রঙ্গিন ছবি Scan করে আপলোড করতে হবে৷ ছবির মাপ হবে ১২০x১৫০ pixels, Image Type: jpg এবং maximum file size:50Kb.
ঙ) সঠিক তথ্য ও ছবিসহ ছক পূরণ করে Submit Application অপশনে ক্লিক করতে হবে৷ এ পর্যায়ে আবেদনকারীর রোল নম্বর ও পিন কোড প্রদর্শিত হবে এবং আবেদনকারীকে ফরমটি ডাউনলোড করে [A4(8.5”×11”) অফসেট সাদা কাগজে ] প্রিন্ট নিতে হবে৷
চ) আবেদন ফরম সংশ্লিষ্ট কলেজে জমাদানের পূর্বে কোন প্রার্থী তার প্রাথমিক আবেদন ফরমটি বাতিল/ত্রুটিপূর্ণ ছবি পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে তাকে এই লিঙ্কে গিয়ে আবেদন ফরমের রোল নম্বর ও পিন কোড এন্ট্রি দিতে হবে৷ এ পর্যায়ে আবেদনকারীকে Form Cancel/Photo Change Option এ গিয়ে Click to Generate the OTP অপশনটি ক্লিক করতে হবে৷ এ সময়ে প্রার্থী তার আবেদন ফরমে উল্লিখিত ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে One Time Password (OTP) পাবে৷ এই O TPএন্ট্রি দিয়ে শিক্ষার্থী তার আবেদন ফরমটি বাতিলপূর্বক নতুন করে আবেদন ফরম পূরণ ও ছবি আপলোড করতে পারবে৷
ছ) যে সকল কাগজপত্র লাগবেঃ এই আবেদন ফরমের সংগে প্রার্থীর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত নম্বরপত্র (অনলাইন কপি), রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত কপি ও Onlineএ ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ৩০০/- (তিনশত) টাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/কলেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে৷ প্রাথমিক আবেদন ফরমটির দ্বিতীয় অংশ সংশ্লিষ্ট কলেজ অধ্যক্ষ/দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্বাক্ষর ও সীলসহ শিক্ষার্থীকে ফেরত দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কলেজ যে সকল প্রাথমিক আবেদন ফরম online-এ নিশ্চয়ন করবে সে সকল প্রার্থী তাদের মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে তা জানতে পারবে।
ভর্তি হতে যে সব কাগজপত্র লাগবেঃ
- অনলাইন থেকে মূল আবেদন ফরম – ২ সেট ( অবশ্যই A4 অফসেট সাদা কাগজে কালার প্রিন্ট করতে হবে), (স্টুডেন্ট কপি হাতে রাখতে হবে)।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ২-৪টি এবং স্ট্যাম্প সাইজ ২-৪ টি পেছনে নাম লিখে দিতে হবে (কলেজভেদে কম বেশি হতে পারে)।
- এসএসসি/সমমান,এইচএসসি/সমমান, স্নাতক (সম্মান) পাশের সনদপত্র এর সত্যায়িত ফটোকপি – ২ সেট।
- স্নাতক (সম্মান) নিয়মিত পাশের প্রশংসাপত্র/প্রত্যয়নপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি – ২ সেট।
- টাকা জমার রশিদ।
- চারিত্রিক সনদপত্র (সাধারণত লাগেনা, কোন কোন কলেজে লাগতে পারে) – ২ টি।
- সমতা নিরূপণ ও মাইগ্রেশন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
উল্লেখ্য, সকল কাগজপত্র ২ কপি করে ২সেট বানাতে হবে যার এক কপি বিভাগীয় সেমিনারে এবং এক কপি অফিসে জমা দিতে হবে।
ভর্তির সময় সকল পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র ও সনদ বিভাগে প্রদর্শন করতে হবে তাই সাথে নিয়ে আসবেন।
Leave a Reply