সেমিস্টার ফি ২০০ টাকা বৃদ্ধি করায়, বাস সংকট নিরসনে , ক্যান্টিনে ভর্তুকি বাড়ানো, হল সংকটের ও বিভিন্ন কারনে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সংক্ষেপে বুটেক্স) । গত ১১ আগোস্ট ৩৯ ব্যাচের ছাত্ররা এসব দাবি নিয়ে ভিসির কাছে যায়। কিন্তু ভিসি তাদের দাবি অগ্রাহ্য করে। পরে ১২ তারিখ দুপুরে বুটেক্সের সকল ছাত্ররা আন্দলোন শুরু করে এবং ভিসির কক্ষ ঘেরাও করে তাদের দাবি উল্লেখ করে স্লোগান দিতে থাকে। এ দিনেও ভিসি তাদের দাবি অগ্রহ্য করে। পরে ছাত্ররা দাবি আদায় না হওয়া প্রর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষনা করে এবং ক্লাস বর্জনের ঘোষনা দেয়।
ছাত্রদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর একবার সেমিস্টার ফি বৃদ্ধি করে ১৫০০ টাকা করা হয়, পরে ২০১৫ সালের আগস্টে আরও ২০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। এই ২০০ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। এছাড়া, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি টেকক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া শর্তেও এখানে মাত্র ২ রুটে ২ টা বাস চলে। বাসে আসতে ১০ টাকা ভাড়া দেওয়া লাগে, আসা-যাওয়া ২০ টাকা খরচ হয়। যারা অনাবাসিক ছাত্র তাদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ক্যান্টিনে খাবারের দাম খুবই বেশি। অনেক ক্ষেত্রে বাইরের দোকানে খাবারের দাম ক্যান্টিনের চেয়েও কম । বুটেক্সে মাত্র ৩ টা হল। ছেলেদের জন্য ২ টা ও মেয়েদের জন্য ১ টা। এখানে সকল ছাত্রের থাকার মত কক্ষ নেই, যারা থাকার সুযোগ হয় তাদের এক রুমে ৮ জনের বেশি থাকতে হয়। ৪১ ব্যাচের ছাত্ররা এখনও হলে উঠতে পারে নি। তাছাড়া, কাদের মোল্লার দেওয়া ল্যাব এর জন্য ৩ কোটি টাকার কাজ ও সরকারি ভাবে ২০ তলা ক্যাম্পাস হওয়ার কথা কিন্তু তা শুরু হচ্ছে না। ওয়াইফাই এর অবস্থা খুবই খারাপ।
ক্যাম্পাসের এসব করুন অবস্থা নিরসনে ছাত্রদের আন্দোলন চলছে ।
Leave a Reply