বরাবর,
মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়,
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,
গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বিষয় : জিপিএ ও ভর্তি পরীক্ষার ভিত্তিতে অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি নেওয়া প্রসঙ্গে।
জনাব,
আপনারা অবগত আছেন যে, একাদশ শ্রেণির ভর্তি পদ্ধতি সমগ্র দেশে কতটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যের নায়ক শিক্ষা সচিব বিতর্কিত একজন ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। এছাড়াও মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসী শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের মুখোমুখি অবস্থানের বিষয়টিও জেনে ফেলেছে। সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র জিপিএ’র মাধ্যমে ভর্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে একাদশ শ্রেণির থেকেও আরও বেশী প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং জটিলতা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এই পদ্ধতিতে কখোনই সুষ্ঠভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। কারন ১টি আসনের বিপরীতে একই মেধা সম্পন্ন বা যোগ্যতা সম্পন্ন একাধিক ছাত্র-ছাত্রী আবেদন করলে তা সঠিকভাবে কখোনই মূল্যায়ন করা সম্ভব হয় না বরং তা হয় বিতর্কিত। তাই শুধু এ বছরই নয় কখোনই এই পদ্ধতিতে সঠিকভাবে মেধার মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। কারন একাদশে শুধু কলেজ বন্টনের বিষয়টি করতে গিয়ে লেজে-গবুরে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে পক্ষান্তরে স্নাতকে শুধু কলেজ নির্ধারণই নয় এর সাথে আছে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় বন্টনের বিষয়টিও। দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদগণ কেউই আপনাদের গৃহীত বিতর্কিত এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মতামত প্রদান করেননি। তাই আপনারা যদি মেধা যাচাই না করে শুধুমাত্র জিপিএ’র ভিত্তিতে অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি নেন তাহলে ভিসি সহ আপনারা সবাই আরও বেশী বিতর্কিত হবেন। নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য আপনারা যদি এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি থেকে সরে না আসেন তাহলে আপনারা নিজেরাই হাসির পাত্রে পরিণত হবেন। এখন যেমন শিক্ষা সচিবসহ দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডকে নিয়ে মানুষ হাসি-তামাশা করছে তেমনি আপনাদেরকে নিয়েও মানুষ এর থেকে বেশী তামাশা করবে।
তাই আপনাদের কাছে একান্ত অনুরোধ রইল, মেধা ধ্বংসকারী বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পূর্বের ন্যায় ভর্তি পরীক্ষা ও জিপিএ’র মাধ্যমে অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি নিন। নাহলে অসংখ্য মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আপনাদের একটিমাত্র হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না।
বিণীত নিবেদক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী
Leave a Reply