বান্দরবানে ৫১৪১ শিক্ষার্থী শিক্ষা অর্জন অনিশ্চিত

প্রকল্প শেষ হওয়ায় বান্দরবানে ইউএনডিপি’র অর্থায়নের ৮৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পথে, ফলে শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হচ্ছে জেলার ৫ হাজার ১৪১ শিশু শিক্ষার্থীকে।Bandorban

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম মৌলিক শিক্ষা সহায়তাবান প্রকল্পের আওতায় ২০০৮ সালে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য প্রকল্প শুরু করে দাতা সংস্থা ইউএনডিপি। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম। চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্প শেষ হয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন করে ইউএনডিপি অর্থায়ন না করলে ঈদের ছুটির পর স্কুলগুলো আর খোলা হবে না। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বেকার হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকেরা।

জেলার যেসব এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুল নেই, সেইসব এলাকার স্থানীয়দের সম্পৃত্ত করে ইউএনডিপি’র অর্থায়নে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

পার্বত্য চট্টগ্রাম মৌলিক শিক্ষা সহায়তাবান প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, আলীকদম ও থানছি উপজেলায় এ শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে। শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হতো। সেখানে ৫ হাজার ১৪১ জন শিশু শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ১৯৩ জন।

ইউএনডিপির সদ্য বিদায়ী শিক্ষা অফিসার পংকজময় ত্রিপুরা বলেন, এমনিতেই জেলায় সরকারি স্কুল কম, তারপর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার কারণে শিক্ষা বঞ্চিত হবে শিশুরা।

বান্দরবানের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল আজম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হলে পাহাড়ের শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, নতুন অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় স্কুলগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম অব্যাহত রাখতে জেলা পরিষদ ইউএনডিপির ঊর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

২০১২ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় কৈননিয়া নামক একটি উন্নয়ন সংস্থা শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়।

তথ্যসূত্রঃ রাইজিংবিডি ডট কম





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*