উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ঋণে ট্যাব দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কলেজে ক্লাস শুরুর দিনেই ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে নতুন ট্যাব বা ল্যাপটপ তুলে দেওয়া যায় কি না- তা চিন্তা করছে সরকার।NI KHAN

২৮ জুন রোববার সচিবালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে যারা ভর্তি হয় ঋণের মাধ্যমে তাদের হাতে একটি করে ট্যাব বা ল্যাপটপ তুলে দেওয়া যায় কি না, এমন চিন্তা করা হচ্ছে। আউটসোর্সিং করে শিক্ষার্থীরা ব্যাংক ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে বলেও নিজের মত প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৬ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দিতে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডায়নামিক ওয়েবসাইট থাকতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষাসচিব বলেন, ওইসব ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য পাওয়া যাবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতায় সুবিধা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডায়নামিক ওয়েবপোর্টাল করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অগ্রণী এবং ডাচবাংলা বাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তা চান শিক্ষাসচিব।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সিএসআর’র মাধ্যমে এই ডায়নামিক ওয়েবপোর্টাল বানিয়ে দিতে পারেন কি-না?

তিনি বলেন, ওয়েবপোর্টাল হলে এজেন্ট ব্যাংকিং হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের টিউশন ফি যেন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে দিতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে চাই।

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা এখন থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে বলে জানান নজরুল ইসলাম।

সচিবালয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষাসচিব।

২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৪০ শতাংশ ছাত্রী ও ১০ শতাংশ ছাত্রকে ৫১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার উপবৃত্তি দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এখন থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় অগ্রণী ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেবে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মাসিক ১৭৫ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীদের ১২৫ টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাবদ অতিরিক্ত ৫০ টাকা দেওয়া হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পর বই কেনার জন্য বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ৭শ’ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীদের ৬শ’ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফি বাবদ ৯শ’ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীরা ৬শ’ টাকা উপবৃত্তি পাচ্ছেন।

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের পরিচালক শ্যামা প্রসাদ ব্যাপারী, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *