জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ৩০ দিনের মধ্যে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, তিতুমীর কলেজ, সিটি কলেজ, বোরহানউদ্দীন কলেজ, বাংলা কলেজ, কবি নজরুল কলেজসহ রাজধানীর সবগুলো কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। ঢাকা ছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালি, যশোরসহ ১৫ টি জেলা শহরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সুপ্তি, সিটি কলেজের শিক্ষার্থী তানজিলা আহমেদ, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সোহানা, তানভীর মাহমুদ, ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ রায়হান জয়, বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী সরিফুজ্জামান, বোরহানউদ্দীন কলেজের ইমরান, দনিয়া কলেজের আলমাস, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সায়েম সিকদার, শেখ সাদী, মামুন, সৈকত, ইমরান ও ফেসবুক ভিত্তিক ইভেন্ট ‘আমরা সমাবর্তন চাই – জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ এর হোস্ট এবং অন্যতম আয়োজক আসিফ আদনান, ওমর ফারুক ও যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দেশব্যাপী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় সরকারি ও বেসরকাির কলেজগুলোতে ২১লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রী মনে মনে সমাবর্তনের স্বপ্নজাল বুনতে থাকে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী চায় সমাবর্তনের মত একটা মুহূর্তের সাক্ষী হতে। ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন সমাবর্তন করতে পারেনি বা সমাবর্তন করার ব্যাপারে ইচ্ছাও প্রকাশ করেননি। তাই শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পেতে আজ রাজপথে নেমেছে।
মানববন্ধন শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা কলেজর শিক্ষার্থী ও আয়োজক যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ।
কর্মসূচি :
১. ৩০ দিনের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমার্বতন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে। আগামী ১০ মার্চ দেশব্যাপী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কলেজে মানববন্ধন করা হবে এবং ওইদিন ক্লাসবর্জন কর্মসূচি পালন করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি মাসব্যাপী প্রত্যেকটি সমাবর্তনের পক্ষে গণস্বাক্ষর গ্রহণ চলবে।
২. এরপর ১৮ই মার্চ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন এবং গনস্বাক্ষর বইসহ স্মারকলিপি প্রদান করা হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর।
Leave a Reply