ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে একত্রিত করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)। এটি একটি হাইব্রিড মডেলে পরিচালিত হবে, যেখানে ৪০% ক্লাস অনলাইনে এবং ৬০% ক্লাস ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করা হবে।
কোন কলেজগুলো অন্তর্ভুক্ত?
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আওতায় থাকবে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ:
-
ঢাকা কলেজ
-
ইডেন মহিলা কলেজ
-
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ
-
কবি নজরুল সরকারি কলেজ
-
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ
-
সরকারি বাঙলা কলেজ
-
সরকারি তিতুমীর কলেজ
এই ০৭ কলেজগুলোতে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী এবং এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
শিক্ষা মডেল ও অনুষদভিত্তিক ক্লাস
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি কলেজে আলাদা আলাদা অনুষদভিত্তিক ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। উদাহরণস্বরূপ:
-
সরকারি তিতুমীর কলেজ: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ক্লাস
-
সরকারি বাঙলা কলেজ: মানবিক অনুষদের ক্লাস
-
অন্যান্য কলেজ: বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ইত্যাদি অনুষদের ক্লাস
এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিষয়ে ডেডিকেটেড পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।
হাইব্রিড শিক্ষা পদ্ধতি
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে হাইব্রিড মডেলে:
-
৪০% ক্লাস: অনলাইনে
-
৬০% ক্লাস: অন ক্যাম্পাস
হাইব্রিড শিক্ষা পদ্ধতি মডেল শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
প্রস্তুতির বর্তমান অবস্থা
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বে একটি কমিটি এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নির্ধারণ করা হয়েছে। আইন প্রণয়ন এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সাত কলেজের যেকোনো একজন অধ্যক্ষকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর, ভর্তি দপ্তর এবং হিসাব দপ্তরের সহায়তায় শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য সুসংবাদ
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক ও গুণগত শিক্ষার সুযোগ পাবেন। এই উদ্যোগ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমন্বিত ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, যা দেশের উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।