টেকশই উন্নয়নে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গনিতের সাথে মানবীও গুনাবলির সংযোজন প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, মানবীয় গুণাবলী যদি যুক্ত না হয় তাহলে সমাজ ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশনা সংস্থা রুটলেস প্রকাশিত ‘‘টুয়ার্ডস এ সাসটেইনেবল ইকোনোমিঃ দ্যা কেস অব বাংলাদেশ’’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্ততবে এসব কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন যে, বর্তমানে দেশ উন্নয়নে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
এতে, আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন যে, দেশ গড়ার জন্য এই বইটিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অতিরিক্ত পাঠ্য বই হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত, যেহেতু এটির ১৩টি প্রবন্ধে দেশ উন্নয়নের বিভিন্ন দিক- নির্দেশনা ও বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি শিক্ষা, গবেষণা ও শিল্প একসাথে সমন্বয়ের তাগিদ দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস-এর পরিচালক ও গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন যে, দেশকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধুর পথে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের সবাইকে মানবকল্যাণকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে যাতে করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। এতে, দেশ ও জনগণের মঙ্গল হবে বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন তিনি।
এসময়, তিনি আরও বলেন যে, টেকসই উন্নয়য়ের ধারক ও বাহক হতে উদ্যোক্তা অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকসে ভর্তির জন্য।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন, ইউনিভার্সিটি অফ স্কিল সমৃদ্ধি ও প্রযুক্তি (ইউএসইটি) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড মুয়াজ্জেম হোসেন। বক্তব্বকালে তিনি বলেন যে, এদেশ স্বাধীন করেছিলো বঙ্গবন্ধু এবং তাইতো অস্ট্রেলিয়া গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও নাড়ির টানে তিনটি বই জাতিকে উপহার দিতে পেরে গর্বিত। এবং লন্ডনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড মাঝহারুল ইসলাম রানা বলেন, দেশ এগিয়ে যাবে এবং বঙ্গবন্ধু কাল থেকে কালে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ- এর উপাচার্য ড. গোলাম সামদানী ফকির।
Leave a Reply