কয়েকদিন ধরেই হুমায়ূন আহমেদ এর “পুফি”- নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। বইটা পড়েছি বেশ কয়েক মাস হয়ে গেলো। কিন্তু মাথা থেকে দূর করতে পারিনি এর পটভূমি বিশ্লেষণ।
আমি জানতাম, ব্যাখ্যা দেয়া অসম্ভব এমন কিছু ব্যাপার নাকি স্যার এর খুব প্রিয় ভাবার ব্যাপার ছিল। বইটার শুরুতে ও এইরকম কিছু বলা আছে।
কিন্তু বই পড়ে, আসলেই “টাস্কি” খাওয়া যাকে বলে তা খেয়েছি!
বয়স যখন সতেরো আঠারো তখন হুমায়ূন আহমেদ এর হিমু চরিত্রের বইগুলো অনেক ভালো লাগতো। হিমুর ভাবনা, হিমুর চিন্তা, হিমুর আদর্শ এইসব ব্যাপার অনেক অনেক আন্দোলিত করতো।
একটা সময় পার হয়ে, বয়স যখন বারলো, তখন হিমুর চেয়ে মিসির আলীর যুক্তি, ঘটনা বিশ্লেষণ, সাহসিকতা, সত্য মোকাবেলা, তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনার মুলে যাবার প্রক্রিয়া ইত্যাদি ভালো লাগতে শুরু করলো। তখন হিমু আর ভালো লাগে না।
কল্পনা বিলাসী মন বাস্তবতার নিরিখে গড়া চরিত্র মিসির আলী সাহেব কে ভীষণ পছন্দ করতে শুরু করলো।
মিসির আলী চরিত্রের সবগুলো উপন্যাস ই আমি কয়েকবার পড়েছি। সবগুলো তে তেমন খটকা না থাকলে ও পুফি নিয়ে আটকে গেলাম। তাই, ব্যাপার টা আপনাদের সাথে শেয়ার করার ব্যাপারে ভাবলাম।
কেউ হয়তো বা এই উপন্যাস টি পড়ে থাকতে পারেন। যদি পড়ে থাকেন, তবে আপনার মতামত প্রত্যাশী।
আর কেউ যদি পড়তে চান, তবে এইখানে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে পড়তে শুরু করুন। আর হ্যাঁ, পড়া শেষে মতামত দিয়ে যেতে ভুলবেন না যেন!
Leave a Reply