চলে গেলেন পাটের জিন আবিষ্কারক ড. মাকসুদুল আলম

পাটের জীন আবিষ্কারক ড. মাকসুদুল আলম আর নেই (ইন্নালিল্লাহী…রাজিউন)। হাওয়াই স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে হাওয়াইয়ের কুইন্স মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি ছিলেন মাকসুদুল। এরপর থেকেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
Fungi-genom-300x191
এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত থেকে তার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ব্লিডিং শুরু হয়। একই সঙ্গে ড. মাকসুদুল আলমের লিভার, কিডনি এবং ফুসফুস অকেজো হয়ে পড়ে।মৃত্যুকালে স্ত্রী রাফিয়া হাসিনা এবং ১৬ বছর বয়সী মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

১৯৫৪ সালে ফরিদপুরে জন্ম নেওয়া মাকসুদুল আলম রাশিয়ার মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুপ্রাণবিজ্ঞানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

পরে জার্মানিতে বিখ্যাত ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৭ সালে প্রাণরসায়নে পুনরায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

উল্লেখ্য, একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের জিন আবিষ্কার করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেন এই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে বসবাস করছিলেন ড. মাকসুদুল।

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন বাই প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।





About লেখাপড়া বিডি ডেস্ক 1519 Articles
লেখাপড়া বিডি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*