আইইউবিএটির ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ৩১ বছরে পা দিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি)। রবিবার সকালে বিপুল আনন্দ ও উৎচ্ছাসের মধ্য দিয়ে উত্তরার নিজস্ব ক্যাম্পাসে আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব।

জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর আইইউবিএটি এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। তার আত্নার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।

৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ মিয়া, কলেজ অব বিজনেজ অ্যাডমিনিস্ট্রিশন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খায়ের জাহান সোগরা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মো. জাহিদ হোসাইন (অব.), রেজিস্টার অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. রবিউল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

৩১ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ও দেশগঠনে ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন সবাই। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন ‌‌‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জোয়ারে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। এই উৎকর্ষতাকে সামনে এগিয়ে নিবে আমাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। আমি আশা করছি আগামীতে আইইউবিএটি এর স্নাতকরাই এই সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে।’

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সবার অংশগ্রহনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্যাফেটিরিয়াতে সবার জন্য ৩১ টাকায় দুপুরের খবার এর ব্যবস্থা করা হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানে আরও রয়েছে সেমিনার, ওয়ার্কশপ ল্যাব প্রদর্শনী, ট্যালেন্ট হান্ট, অ্যালামনাই ডে, খেলাধুলার প্রতিযোগিতা, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন।

উল্ল্যেখ্য যে, আইইউবিএটি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে এটি। বর্তমানে উত্তরায় ২০ বিঘার নিজস্ব সবুজ ক্যাম্পাসে ৬টি অনুষদে ১১টি প্রোগ্রাম চালু আছে এই প্রতিষ্ঠানে। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর সাথে এশিয়া ও আফ্রিকার ১২টি দেশের শতাধিক শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত পড়াশোনা করছেন।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*