অপরিচিত এক মেয়েকে অনুসরণ করার অপবাদ দিয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রকে হাতুড়িপেটা করেছে স্থানীয় মেস মালিকের দুই ছেলে। পরে তাকে আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোবহান সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে।আহত ওই ছাত্রের নাম শরীফ রাজু। তিনি বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থী ও আহতের সহপাঠী মোনায়েম হোসাইন মুন্না বলেন, আমি এবং রাজু আমাদের অপর এক সহপাঠীর সাথে মুদি দোকানে যাচ্ছিলাম। এসময় আমাদের কিছুটা সামনে একটা মেয়ে ছিলো। মেয়েটি আমাদের অপরিচিত ছিলো এবং আমরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। এসময় মেয়েটিকে নিয়ে আমরা কোনো ধরনের আলোচনা করিনি।
“পথিমধ্যে আমাদের এক পরিচিত ভাইয়ের মেস থাকায় এবং মেসে রাজুর কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকায় আমরা ভেবেছিলাম জিনিসপত্রগুলো একসাথে নিয়ে যাই। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরেই মেয়েটি তার মেসের মালিককে ডেকে আনে এবং অভিযোগ করে, আমরা তাকে অনুসরণ করছি।”
তিনি বলেন, আমরা তখন তার এই অভিযোগ অস্বীকার করি এবং বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। বাড়িওয়ালা রাজুর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় একপর্যায়ে তিনি আমাদের চলে যেতে বলেন। কিন্তু আমরা যখন ফিরে আসছিলাম তখন বাড়িওয়ালার বড় ছেলো মোরশেদ চৌধুরী ছুটে এসে রাজুকে কিল ঘুষি মারতে শুরু করে।
মুন্না আরও বলেন, আমরা মোরশেদ চৌধুরীকে থামানোর চেষ্টা করি কিন্তু একপর্যায়ে তার ছোট ভাই এবং বাংলা বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তুফান চৌধুরী একটি হাতুড়িসহ ছুটে এসে রাজুকে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। আমরা ঘটনার প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়ে বিভাগের শিক্ষকদের জানাই এবং পরবর্তীতে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজুকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, আমরা এ ঘটনায় তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং একজন ছাত্রীসহ চারজনের বক্তব্য গ্রহণ করেছি। আহত শিক্ষার্থী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply