অক্সফোর্ড ইমিউন অ্যালগোরিদমেটিক্সে নিয়োগ পেল আইইউবিএটি’র গ্র্যাজুয়েট

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের ত্বত্ত্বাবধানে পরিচালিত অক্সফোর্ড ইউমিউন অ্যালগোরিদমেটিক্স (ওআইএ) এর সাথে যুক্ত হচ্ছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির-আইইউবিএটি এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকধারী এমএ মতিন সবুজ। তিনি ‘মেকানিক্যাল ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার’ পদে নিয়োগ পান। প্রতিষ্ঠানটি নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করে ওআইএ।

২০১৫ সালে আইইউবিএটি এর ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন সবুজ। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই এই সম্মাজনক চাকরির সুযোগ পেলেও, করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পরে তার যোগদানের দিনক্ষন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক হতেই, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৈশ্বিক এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিবে সে।

এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কনফারেন্স হলে আইইউবিএটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারিং আল্যামনাই অ্যাসোসিয়েশন উদ্যোগে এমএ মতিন সবুজের জন্য এক বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। আইইউবিএটি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস সবুজকে তার অসামান্য অর্জনের জন্য শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর, ফ্যাকাল্টি মেম্বার এবং আল্যামনাইগণ এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন। সবুজ তার নিজ অর্জনে আপ্লুত হয়ে অনুভুতি প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি ভবিষ্যতে যারা ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করে চাকরি বাজারে প্রবেশ করছে তাদেরকে শুধুমাত্র মূল ধারার পড়াশোনার প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে থাকার পরামর্শ দেন।

৩০ বছরে পা দেওয়া দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইবিএর (ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট) সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। আইইউবিএটির প্রত্যয়: যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা, মেধাবী কিন্তু অসচ্ছলদের জন্য প্রয়োজনে অর্থায়ন।

রাজধানীর উত্তরায় ২০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত আইইউবিএটির ক্যাম্পাস সবুজে ঘেরা। দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত একজন দক্ষ স্নাতক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *