শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তির সেবা তথা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সকলের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ‘রূপকল্প-২০২১’-এর আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে হলো অল্প সময়ে, কম পরিশ্রমে এবং স্বল্প ব্যয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা প্রদান করা। এ লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতভূক্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্বিতীয় পর্যায়ে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এক অনলাইন সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পূর্বের গতানুগতিক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ প্রাপ্তিতে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হতো। সরকার এ২চ পদ্ধতিতে ঊঋঞ এর মাধ্যমে বৃত্তির অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে ভোগান্তির নিরসন করছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বরাদ্দকৃত বৃত্তির টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে।
অধিদফতর থেকে সরকারের রাজস্ব খাতভুক্ত প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক (পাস/সম্মান) পরীক্ষাসহ মোট চারটি ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হয়। প্রতি বছর (ক) মেধা ও সাধারণ বৃত্তি কোটায় এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৯ জন (খ) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, উপজাতীয় উপবৃত্তি আট হাজার ৭৬০ জন (গ) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক উপবৃত্তি এক হাজার ৭৩৫ জন (ঘ) বিভিন্ন পেশামূলক উপবৃত্তি সাত হাজার ২৩০ জনসহ ঘোষিত বৃত্তির সংখ্যা এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪। এ ছাড়া প্রতিবছর পূর্ব থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর চলমান বৃত্তির সংখ্যা দুই লাখ ৭২ হাজার ৫৬৯। চলমান ও ঘোষিত বৃত্তিসহ এক বছরে চার লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি/উপবৃত্তি দেয়া হয়।
Leave a Reply