ভুল হওয়ার আগেই জেনে রাখুন ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম

সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক! ঈদের নামাজ বছরে পড়তে হয় মাত্র দুইবার, ফলে অনেকেই এর নিয়মকানুন একটু গুলিয়ে ফেলেন। অনেকেই কখন হাত বাঁধবেন, কখন হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবেন এটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন, এমনকি অনেকে একবার ডানপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন আরেকবার বামপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন। অথচ বিষয়টা খুবই সহজ। মূলত বিব্রত হতে হয়  অতিরিক্ত ৬টি তাকবীর নিয়ে। নিচে ঈদের নামাজের নিয়ম ও ঈদের নামাজের নিয়ত আলোচনা করা হলোঃ
ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম

এক নজরে এই পোষ্টে কি কি থাকছে দেখে নিনঃ

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

প্রথমে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের নিয়ত করে তাকবীর (আল্লাহু আকবর) বলে তাহরিমা বাঁধতে (বুকের নীচে) হবে ইমামের সাথে সাথে। এরপর নীরবে সুবহানাকা ও তাসমিয়া পাঠ করতে হবে।

এরপর ইমাম তিনবার উচ্চঃস্বরে তাকবীর বলবে। প্রত্যেকবার তাকবীর বলবার সাথে সাথে কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলতে হবে। প্রথম দুইবার হাত নীচে ছেড়ে দিতে হবে আর তৃতীয়বার হাত বুকের নীচে বাঁধতে হবে। অতঃপর ইমাম উচ্চঃস্বরে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করবেন। মুক্তাদিগন উহা শ্রবন করিবে। ইমামের পিছনে রুকু-সেজদা করে দ্বিতীয় রাকাতে একই ভাবে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতের শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে ইমাম তিনবার তাকবীর পাঠ করবেন। তিনবারই হাত ছাড়িয়া দিতে হইবে, বুকে বাঁধা যাবে না। এই তিন তাকবীর বলার সময় প্রত্যেক বার কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠাইয়া তাকবীর বলার পর দুই হাত দুই পাশে ঝুলাইয়া রাখিবে এবং হাত ঝুলন্ত থাকা অবস্থায়ই তাকবীর বলে রুকুতে যেতে হবে।  এর পার সাধারন নামাজের মতোই ইমাম নামাজ শেষ করবেন।

নামাজ শেষে ইমাম খুতবা পাঠ করবেন ও সবশেষে মুনাজাত করবেন। জুম্মার নামাজের আগে খুতবা পাঠ করা হয়। কিন্তু ঈদের নামাজের শেষে খুতবা পাঠ করা হয়।

ঈদ উল ফিতরের নামাজের নিয়ত (বাংলায়) :

আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কিবলামুখী হইয়া ঈদ-উল-ফিতরের ওয়াজিব নামায ছয় তকবিরের সাথে এই ইমামের পিছনে আদায় করিতেছি । –আল্লাহু আকবর।

খুতবার সময় কথাবার্তা বলা, চলাফেলা করা, নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় একাকী তা আদায় বা কাজা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে চার বা তার অধিক লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ে নেয়া ওয়াজিব। । নামাজ এর পর অবশ্যই খুতবা শুনবেন, খুতবা শোনা ওয়াজিব । আল্লাহ পাক আমাদের কে সঠিক নিয়মে নামায পড়ার তাওফিক দিন ।

-আমীন





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*