করোনা পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী ডিজিটাল বিপণন ব্যবস্থার ব্যাপক প্রসারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে দেশের বিপণনে এ ব্যবস্থা বড় স্থান দখল করতে পারে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থেই এই ব্যবস্থাপনাকে এখনই শৃঙ্খলার মধ্যে আনা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে যথাযথ আইন ও নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে শিক্ষা কারিকুলামে এ ইস্যুটিকে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদও দেন তারা। গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের (ডিএসসিই) এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ইকোনমিস্ট ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনলাইনভিত্তিক ওই সেমিনারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বক্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
‘করোনার বৈশ্বিক মহামারীকালে ডিজিটাল বিপণন ব্যবস্থা : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। দিনব্যাপী ওই সম্মেলনে বিষয়ভিত্তিক তিনটি কর্ম-অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিইর উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী।
ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ডিজিটাল বিপণন ব্যবস্থার সম্ভাবনার পাশাপাশি এর কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। সম্প্রতি নামকরা কিছু বিপণন কোম্পানির প্রতারণার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ কেউ এই প্রক্রিয়ায় ক্যাসিনোর মতো কর্মকা-ও চালাতে চায়। শৃঙ্খলার স্বার্থে পুরো ব্যবস্থাপনাকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার তাগিদ দেন তিনি।
সম্মেলনে বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বারের (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি সবুর খান, পূবালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হেলাল আহমেদ চৌধুরী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক এমডি আনিস এ খান, এক্সিম ব্যাংক অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির ভিসি এবিএম রাশিদুল হাসান, ভারতের বেঙ্গালুরুর কেজিএস সেন্টার ফর কোয়ালিটি মাইন্ডসের পরিচালক কৃপা শঙ্কর গুপ্ত, ভুটানের শিক্ষক মধাব ভার্মা, থাইল্যান্ডের নারিসুয়ান ইউনিভার্সিটির ভিচানায়ান রাতানাউইবুমসন, ভারতের অরূপ চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞরাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
Leave a Reply