এসএসসি ফল শেষে ১ মাসে ভর্তি, ঈদের পর এইচএসসি

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় এখন বিকল্প পথে এগোচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত একমাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টিভি ও অনলাইনে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হলেও এসএসসির ফল ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বড় জটিলতা দেখা দিয়েছে।

সঠিক সময়ে এসএসসির ফল প্রকাশ না হলে ক্লাসও পিছিয়ে যাবে। এতে একটি জটে পড়বে একাদশের শিক্ষা কার্যক্রম। আবার এইচএসসি পরীক্ষা সূচি অনুযায়ী শুরু করতে না পারায়ও আরেক জটিলতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমেও ভাটা পড়েছে পুরোপুরি।

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে দফায় দফায় মিটিং করছেন মন্ত্রী-সচিবসহ শিক্ষা কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সব বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন।

এসএসসির ফলাফল পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ মে মাসের শুরুতে প্রকাশের কথা থাকলেও তা এখনও অনিশ্চিত।

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল বলেন, গণপরিবহন যখন সীমিত আকারে চলাচল শুরু হবে, তার ১৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ করব। ফলাফলের ৭০ ভাগ কাজ কমপ্লিট হয়েছে। কিছু ওএমআর বাইরে আছে, সেগুলোর কাজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই শেষ করতে পারব।

একাদশের ভর্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ফলাফলের পরে যথারীতি চেষ্টা করব এক মাসের মধ্যে ভর্তি শেষ করে ক্লাস শুরু করার। আর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ক্লাস মিস হলে আগামী বছরে যে ছুটির তালিকা আছে, তার সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করব।

গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে শুরু ও শেষ করতে না পারলে উচ্চশিক্ষায়ও তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, আমরা পরিস্থিতি দেখে রুটিন করব ২৪ থেকে ২৫ এপ্রিলের দিকে। যাতে ঈদের চার থেকে পাঁচ দিন পরে পরীক্ষা নিতে পারি। তবে সব নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।

তিনি আরও বলেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নভেম্বরে হয়। এক মাস যেহেতু ক্লাস হয়নি, ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সময়, এই সময়ে আমাদের অনেক ছুটি।

ঈদ-উল-আজহার ছুটি ১৬ দিন, সেটাকে চার দিনে নিয়ে আসা; পূজার ৭ দিন ছুটি থেকে ২ দিনে আনলে ৫ দিন পাব। ঐচ্ছিক ছুটিগুলো সমন্বয় করতে পারব।

এভাবে একাডেমিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিকল্প পরিস্থতি নিয়ে এগোতে হচ্ছে বলে জানান জিয়াউল হক।

গত ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। 

 





About মোঃ মিলন ইসলাম 1011 Articles
মোঃ মিলন ইসলাম , বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সাইট "লেখাপড়া বিডি"র "চিফ ইডিটর" হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া, লেখাপড়া বিডি"র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন আল মামুন মুন্না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*