করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন হোন, নিজে সুস্থ থাকুন এবং প্রিয়জনকে সুস্থ রাখুন

করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন হোন, নিজে সুস্থ থাকুন এবং প্রিয়জনকে সুস্থ রাখুন

Advertisement

  • কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?

    শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

  • আমার কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?

    করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।

  • শিশুরা কি ঝুঁকিতে?

    যে কোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত: আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

    তবে শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, যা সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ায় দেখা গেছে।

  • স্কুল/কলেজ বন্ধের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিঃ কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমন থেকে শিশু এবং স্কুলের রক্ষায় সহায়তা করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি), ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আজ নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। বিদ্যালয়কে নিরাপদ রাখতে জরুরী বিষয় এবং ব্যবহারিক যাচাইতালিকা সরবরাহ করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। এছাড়াও, শিক্ষাগত সুযোগ-সুবিধার জন্য কীভাবে জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং প্রয়োগ করতে হবে সে বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে নির্দেশিকাটিতে। স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে, শিশুদের পড়াশোনার এবং সুস্থতার উপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব কমানোর সুপারিশ দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। এর অর্থ হলো অনলাইন শিক্ষার কৌশল ও শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়কে বেতারের মাধ্যমে সম্প্রচারের মতো দূরবর্তী শিক্ষণ পদ্ধতিসহ শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা, এবং সকল শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সেবাসমূহের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এছাড়াও, স্কুলগুলো পুনরায় খোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও এই পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত থাকা উচিত।

    সেসব জায়গায় স্কুলগুলো এখনও খোলা আছে, সেসব জায়গায় যাতে শিশু এবং তাদের পরিবার সুরক্ষিত থাকে এবং তারা যেন জরুরী বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য এই নির্দেশিকায় যে সব ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো:

    • শিশুরা কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে সে সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা
    • সর্বোত্তম পদ্ধতিতে হাত ধোয়া ও স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন অনুশীলন পদ্ধতি প্রচার করা ও হাইজিন পণ্য সরবরাহ করা
    • স্কুল ভবনগুলো, বিশেষতঃ পানীয় এবং স্যানিটেশন সুবিধাসমূহ, পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করা; এবং
    • বাতাসের প্রবাহ এবং অবাধ চলাচল বৃদ্ধি করা
    •  

    ইতিমধ্যে যেসব দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে, সেসব দেশ ছাড়াও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা প্রাসঙ্গিক হবে। এইবিষয়ে শিক্ষাই পারে স্কুলে, নিজেদের বাড়িতে এবং তাদের কমিউনিটিতে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রন করতে শিক্ষার্থীদের দূত হিসাবে কাজ করতে উৎসাহিত করতে। শিক্ষার্থীরা অন্যদের সাথে সাথে রোগটির প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নিয়ে কথা বলার মাধ্যমে একাজটি করতে পারে।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*