নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলাদ্বীন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ‘
কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ‘ এর চলতি বছরের
জেএসসি পরীক্ষাথীদের কাছ
থেকে বিনা রশিদে ফি এর
কথা বলে ৪০০
টাকা করে হাতিয়ে নেওয়ার
অভিযোগ
উঠেছে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান
শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জেএসসি পরীক্ষাথীরা অভিযোগ
করে বলে, শিক্ষকরা বলেছেন, আমাদের স্কুলে পরীক্ষার কেন্দ্র তাই ৪০০ টাকা
করে তোমাদের দিতে হবে।কারণ
খাতা নিয়ে গোপালদী আসা-
যাওয়া করতে হয়।সেই যাতায়াতের
টাকা আমরা কোথায় পাবো?
তোমরা যদি আজ
গোপালদী বা শম্ভুপুরা গিয়ে পরীক্ষা দিতে তাহলে কি খরচ
হতো না?
অভিভাবকরা অভিযোগ
করে বলেন,আমাদের
ছেলেমেয়েরা আমাদের
কাছে এসে বলছে ৪০০
টাকা করে লাগবে।আমাদের
এখানে পরীক্ষার কেন্দ্র
বলে টাকাটা লাগবে।কিন্তু কেন শুধু শুধু
টাকাটা নিলো তা আমরা জানি না।
আমাদের সাথে কেউ এই
ব্যাপারে কোন আলাপ করেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র ঘোষ
বলেন,আমি কমিটির অনুমোদন
সাপেক্ষে সকল অভিভাবকদের
নিয়ে বসে রেনু চালানোর
ব্যাপারটার কথা বলে নিয়েছি।
প্রতিদিন আমাদের প্রায় ১৮০০-২০০০
টাকা শুধু যাতায়াত খরচ-ই হয়।এই
অভিযোগটি হয়তো বা দু’একজন
বলতে পারে,এটা আমার জানা নেই।
আমার কাছে কেউ অভিযোগ
নিয়ে আসে নাই,যদি আসতো তাহলে হয়তো আমি মাফ
করে দিতাম।প্রায় ৫০ টার মতো মাফও
করেছি।যাদের
অসুবিধা আছে তাদেরকে জোর
করবো কেন? আবার কিছু আমার পকেট
থেকেও দিয়ে দিয়েছি।
এইটা ছেলেদের
সুবিধার্থে ইউনিয়ন
চেয়ারম্যান সহ এলাকার মুরুব্বিদের
নিয়ে বসেই বলেছিলাম,এই অতিরিক্ত
খরচটা আমি কি করবো? তখন
তারা এইভাবে সিন্ধান্ত নিয়েছে।ম্যানেজিং কমিটির
সভাপতি তো বলেছেন,তিনি এই
ব্যাপারে জানেন না।আপনি সবকিছু
জানেন? এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান
শিক্ষক বলেন, তিনি জানেন তো।
তাকে ছাড়া কিভাবে করবো?
তিনি কেন কথা বলতে চাননি তা তো আমি জানি না।।। তিনি কেন বলেছে জানিনা- তা
আমি বলতে পারবো না।
সেইটা ওনার সাথে কথা বলে জানতে হবে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির
সভাপতি হকসাব তালুকদার বলেন,উক্ত
অভিযোগ ঠিক নয়।এই
ব্যাপারে আমি কিছু
জানিনা,আপনি প্রধান শিক্ষকের
সাথে কথা বলুন আশা করি সবকিছু
জানতে পারবে।এই ব্যাপারে প্রধান
শিক্ষক সব কিছু জানেন।তিনি সবকিছু
বলতে পারবেন।
চলতি বছর ২৭৭ জন
জেএসসি পরীক্ষাথীদের নিকট
থেকে ফি এর কথা বলে ৪০০
টাকা করে ১১০৮০০ টাকা হাতিয়ে নেন।এ ব্যাপারে অভিভাবক
মহলে দেখা দিয়েছে বিরুপ
প্রতিক্রিয়া।এমতাবস্থায় সবার
মুখে একটাই প্রশ্ন, কবে শেষ
হবে শিক্ষার নামে ব্যবসা?
নাকি এমনি থেকে যাবে আজীবন? আর
আমরাই কি ফিরে পাবো আমাদের
ঘামে ভেজা টাকা?
Leave a Reply