আগামীতে জেএসসি- জেডিসি পরীক্ষায় নম্বর ও বিষয় কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে। জেএসসি ও জেডিসিতে ৩ টি বিষয় কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ২০০ নম্বর কমতে পারে। তবে এবছর পরীক্ষায় এমসিকিউ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আগামী ৩১ মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন। ২৭ মে ২০১৮ তারিখ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
সোহরাব হোসেন বলেন, বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের উপর বেশি চাপ পড়ছে বলে চাপ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আপাতত কিছু বিষয় কমানো যায় কি-না, কমালে এবছর থেকে বাস্তবায়ন করবো।
সিলেবাসের বিষয়ে সচিব বলেন, এমন হতে পারে যে সিলেবাসের পুরোটাই থাকবে, কিন্তু এক বছর এক অংশ থাকবে, পরের বছর অপর অংশ।
বছরের মধ্য সময়ে এসে পরিবর্তন নিয়ে সচিব বলেন, আমরা চাই এমন সিদ্ধান্ত, যাতে কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের দুঃচিন্তা করার কোন কিছু থাকবে না।
জেএসসি-জেডিসিতে বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। গত ২০ মে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা সভায় সাতটি বিষয়ে মোট ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেছে।
আগামী ৩১ মে সভায় নম্বর ও বিষয় কমানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব।
জেএসসি-জেডিসিতে এবছর এমসিকিউ থাকছে কি-না, জানতে চাইলে সচিব বলেন, এবছর সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত পরিবর্তন আসেনি।
তিনি বলেন, আমি সবসময় এমসিকিউ এর বিপক্ষে। এমসিকিউ অত্যন্ত উন্নতমানের একটা পদ্ধতি। কিন্তু আমরা সেই পর্যায়ে এখনও পৌঁছাইনি। শুধু এমসিকিউ নয়, পরীক্ষা মানেই হচ্ছে সারা বছর যা পড়লে সেটি সে একা একা পরীক্ষার খাতায় প্রকাশ করবে; সেখানে কোন ধরনের তথাকথিত সহযোগিতা কারো কাছে নিতে পারবে না। কিন্তু আমরা সে রকম পারি না, বিশেষ করে আমরা এমসিকিউ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ পাই- বলে দিচ্ছেন, কেউ কনট্রাক্ট নিচ্ছেন এ ধরনের বিষয় আছে এবং এমসিকিউ এর জন্য মরিয়া হয়ে মানুষ অনেক কিছু করছেন।
‘যে পরীক্ষা কাউকে সঠিক মূল্যায়ন করতে সহযোগিতা করে না বা সঠিক মূল্যায়ন করে না, সে পরীক্ষা থাকার আমি মনে করি কোন যুক্তি নেই’।
সচিব বলেন, আমি মনে করি এমসিকিউ না থাকলে যে স্তর থেকে শুরু হচ্ছে সেখান থেকে শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর জেএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র ১০০, দ্বিতীয়পত্র ৫০, ইংরেজি প্রথমপত্র ১০০, দ্বিতীয়পত্র ৫০, গণিত এবং বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ধর্ম, গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষি বিষয়ে ১০০ করে ৮০০ নম্বর এবং তথ্য প্রযুক্তি ৫০ নম্বরসহ মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে।
কিন্তু নতুন নিয়ম কার্যকর হলে বাংলা ও ইংরেজি মিলে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা বন্ধ করে আরও ১০০ নম্বর কমানো হবে।
Leave a Reply