এসিসিএ হচ্ছে অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। সহজে এটি এসিসিএ নামেই পরিচিত। এসিসিএ পড়ার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারেন আপনার স্বপ্নের পথে। ব্যবসায় শিক্ষাবিষয়ক এই ডিগ্রি নিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন দক্ষ হিসেবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই ডিগ্রি সারা বিশ্বেই চাকরির বাজারে সমাদৃত। এসিসিএ বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে এই সনদ নেওয়ার সুযোগ আছে। চাকরির পাশাপাশি বাসায় বসেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্স বা এসিসিএ সনদের জন্য।এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মহুয়া রশীদ জানান, ‘বর্তমান সময়টাই ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার। এসিসিএ একটা বৈশ্বিক ডিগ্রি, যেকোনো দেশের চাকরিবাজারে এসিসিএর সনদ গ্রহণযোগ্য।
কর্মজীবী থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী-সবাই ঘরে বসেই প্রস্তুত হতে পারেন এই ডিগ্রির জন্য।’
দেশে-বিদেশে ব্যাংক, বিমা প্রতিষ্ঠান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক ও দাতাসংস্থায় সহজেই চাকরি পেতে পারেন এসিসিএ ডিগ্রি নিয়ে।
নতুন বিষয় ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা
ও–লেভেল বা এইচএসসি শেষ করেই ভর্তি হতে পারেন ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্সটিতে। মোট সাতটা বিষয় পড়তে হয় এখানে। এই সাতটা বিষয় শেষ করলে তিনটা সনদ পাওয়া যাবে, যা দিয়েই আপনি পেশাজীবন শুরু করতে পারেন ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে।
এসিসিএর আগের পাঠ হচ্ছে এই ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্স। নিয়মিত পড়লে এক বছরে শেষ করা যাবে এই কোর্স। এরপর কেউ এসিসিএ করতে চাইলে এই ডিপ্লোমা তাঁকে সহজে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এসিসিএ
কেউ যদি ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা শেষ করে এসিসিএ পড়তে চান, তাহলে তাঁর ছয় মাস কম সময় লাগবে। কারণ, ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমাধারীদের জন্য এসিসিএর প্রথম তিনটা বিষয় পড়তে হয় না। শুধু এসিসিএ শেষ করতে সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর। যেখানে অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস অ্যাকাউন্টিংয়ের মতো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।
যোগ্যতা
ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্স করা যাবে এসএসসি পাসের পরেই। তবে এইচএসসি পাস করে এলেই বেশি ভালো বলে জানান মহুয়া রশীদ।
এ ছাড়া স্নাতক পাস করার পরও যে কেউ এসিসিএ করতে পারবেন। ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পাস করে এলে ইংরেজি ও গণিত থাকাটা জরুরি। কেউ যদি বিবিএ বা এমবিএ করার পর ভর্তি হন, তাহলে তাঁকে এসিসিএর প্রথম চারটা পর্ব পড়তে হয় না।
পরীক্ষাপদ্ধতি
দুটি পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে পারেন এখানে। হলে বসে খাতায় লেখা ছাড়াও কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। খাতায় পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এ ছাড়া অনলাইনে পরীক্ষা দিতে হয় ব্রিটিশ কাউন্সিল, এলসিবিএস ঢাকা ও চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজে।
পরীক্ষায় বসার আগে
বাসায় বসে নিজে নিজেই পড়াশোনা শুরু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন ও পাঠ্যক্রম সংগ্রহ করতে পারেন এসিসিএর ওয়েবসাইট থেকে। এসিসিএ অফিসে প্রয়োজনীয় ফি ও কাগজপত্র জমা দিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে।
যেখানে ভর্তি হবেন
বছরের যেকোনো সময় এসিসিএ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। এসিসিএ অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসিসিএ বা ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নিন।
কোনো ধরনের বিভ্রান্তি এড়াতে এসিসিএ বাংলাদেশ অফিস: গুলশান ভবন, চতুর্থ তলা, বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়ক, ৩৫৫ মহাখালী, গুলশান, ঢাকায় যোগাযোগ করে নিতে পারেন। বিস্তারিত তথ্য জানতে ০১৯১৩০৬০৭৪৫ নম্বরে ফোন অথবা ভিজিট করতে পারেন www.accaglobal.com ওয়েবসাইট।
মূল লেখকঃ
সৌজন্যেঃ প্রথম আলো
Leave a Reply