আজ ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রোববার সকাল ১০ টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের অধ্যক্ষদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক শিক্ষা সমাবেশ আয়োজন করা হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কলেজ অধ্যক্ষদের উদ্দেশ্যে দেশের উচ্চশিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দিকনির্দেশনাপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটিভিত্তিক ও বিকেন্দ্রীকৃত পরিচালন ব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট মুক্ত করায় সন্তোষ প্রকাশ করে তাঁর ভাষণে বলেন, “জাতির পিতার নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট বিনিয়োগ। বিশ্বের কোথাও শিক্ষিত কোনো জাতি অনুন্নত, পশ্চাতপদ, বেকার বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন থাকে না। শিক্ষা হচ্ছে একটি জাতির উন্নয়নের সোপান।” তিনি তাঁর ভাষণে আরো বলেন, “আপনারা কলেজ অধ্যক্ষগণ হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে সুশিক্ষা পায়, তারা যাতে দেশপ্রেম ও ত্যাগের মহান আদর্শে গড়ে ওঠে এবং কোনো শিক্ষার্থী যাতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তিতে বিপথগামী না হয়, সে দিকে সুদৃষ্টি রাখার জন্য আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই।”
তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি স্থাপনা ও ১টি প্রকল্প যথা – ১. মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২. ‘স্বাধীনতা’ ম্যুরাল, ১৯৫২-১৯৭১, ৩. ডরমিটরি ভবন, ৪. আইসিটি ভবন, ৫. সিনেট ভবন, ৬. কর্মকর্তা ভবন, ৭. কর্মচারী ভবন, ৮. বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৯. রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্র, ১০. চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্র, ১১. কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (CEDP)-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগরে মাননীয় শিক্ষা সচিব জনাব মো. সোহরাব হোসাইন।
সারাদেশ থেকে ২০৪৯ জন কলেজ অধ্যক্ষ এ শিক্ষা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সম্মানিত সদস্য, মাননীয় উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply