সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি নবম দশম শ্রেণীর বাণিজ্যিক শাখার শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্য নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ নবম অধ্যায় রেওয়ামিল।
আর হ্যাঁ, ইউনিভার্সিটি এডমিসন পরীক্ষায় হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে প্রস্তুতিতেও এই পোস্ট টি হেল্পফুল হবে। বই পড়তে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন Bangla Books PDF থেকে।
নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ অষ্টম অধ্যায়
রেওয়ামিল
- খতিয়ানের ডেবিট ও ক্রেডিট ব্যাল্যান্সসমূহের তালিকাকে বলে- রেওয়ামিল।
- রেওয়ামিল হলো খতিয়ান হিসাবসমূহের জেরের তালিকা বা বিবরণী।
- রেওয়ামিল হিসাবচক্রের- পঞ্চম স্তর।
- রেওয়ামিল প্রস্তুত করা- বাধ্যতামূলক নয়।
- রেওয়ামিল প্রস্তুতের উদ্দেশ্য হলো হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা।
- রেওয়ামিলের দুই দিকের যোগফল সমান না হলে বুঝতে হবে দুতরফা দাখিলা অনুসারে হিসাব সংরক্ষণে- ভুলত্রুটি আছে।
- রেওয়ামিল তৈরি করা হয়- নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে বা নির্দিষ্ট কোনো তারিখে।
- রেওয়ামিল লিপিবদ্ধ করা হয়- জাবেদা ও খতিয়ান তৈরি করার পর
- সমাপনী মজুদ বসে না- রেওয়ামিলে।
- যেসব হিসাব রেওয়ামিলে আসবে না- সমাপনী মজুদ পণ্য, প্রারম্ভিক ব্যাংক জমা, প্রারম্ভিক হাতে নগদ, সম্ভাব্য দায়, সম্ভাব্য সম্পদ।
- রেওয়ামিলের ছকে মোট ঘরের সংখ্যা- ৫টি।
- রেওয়ামিলের ডেবিট ঘরে বসে- যাবতীয় সম্পত্তি, খরচ, ক্ষতি, বকেয়া আয়, অগ্রিম প্রদত্ত খরচ, প্রাপ্য আয়, অবচয়, অবলোপন, ক্রেডিট জেরের সুদ।
- রেওয়ামিলে ক্রেডিট ঘরে বসে- যাবতীয় দায়, আয়, লাভ, প্রাপ্ত আয়, প্রদেয় খরচ, বকেয়া ব্যয়, অগ্রিম আয়, ডেবিট জেরের সুদ।
- সাধারণ সঞ্চিতি ও কুঋণ সঞ্চিতি- একই কথা নয়।
- কুঋণ সঞ্চিতি বলতে অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি বোজায়।
- রেওয়ামিলে আসে না- সমাপনী মজুদ পণ্য, প্রারম্ভিক হাতে নগদ, প্রারম্ভিক ব্যাংক জমা।
- রেওয়ামিলের ডেবিট কলামের যোগফল সর্বদা ক্রেডিট কলামের যোগফলের- সমান হবে।
- রেওয়ামিলের ডেবিট ও ক্রেডিট কলামের যোগফল সমান হলে- খতিয়ানের গাণিতিক শুদ্ধতা প্রকাশ করে।
- রেওয়ামিলের প্রধানত ভুল হতে পারে- ৬ প্রকার।
- যেসব ভুল রেওয়ামিলে ধরা পড়ে- বাদ পড়ার ভুল, লেখার ভুল, টাকার অঙ্কের ভুল, খতিয়ানের উদ্বৃত্ত নির্ণয়ের ভুল, খতিয়ানের উদ্বৃত্ত রেওয়ামিলে স্থানান্তরের ভুল, রেওয়ামিলের ডেবিট ও ক্রেডিট ঘরের যোগফল নির্ণয়ের ভুল।
- যেসব ভুল রেওয়ামিলে ধরা পড়ে না- বাদ পড়ার ভুল, লেখার ভুল, পরিপূরক ভুল, বেদাখিলার ভুল, নীতিগত ভুল।
- যেসব ভুল রেওয়ামিলে ধরা পড়ে না, সেগুলোকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ ১) করণিক ভুল ২) নীতিগত ভুল।
- কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অসাবধানতা যে ভুলের সৃষ্টি করে- লেখার ভুল।
- যখন একটি ভুল আর একটি ভুলের দ্বারা সংশোধিত হয়ে যায় তখন ঐ ভুলকে বলে পরিপূরক ভুল বা স্বয়ংসংশোধক ভুল।
- মুনাফাজাতীয় খরচকে মূলধনজাতীয় খরচ এবং মূলধনজাতীয় হিসাবকে মুনাফাজাতীয় হিসাব লেখাকে বলে- নীতিগত ভুল।
- মূলত অনিশ্চিত হিসাব একটি- অস্থায়ী বা সাময়িক বা গরমিল হিসাব।
- অনিশ্চিত হিসাব রেওয়ামিলে- ডেবিট ও ক্রেডিট কলামের পার্থক্য নির্দেশ করে।
Leave a Reply