নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ অষ্টম অধ্যায় নগদান বই

সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শুরু করতে যাচ্ছি নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ অষ্টম অধ্যায় নগদান বই এর উপর সাজেশন তথা টিপস সম্বলিত পোস্ট। আশা করছি শিক্ষার্থী বন্ধুদের এই অধ্যায় এর উপর নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিতে এটি হেল্পফুল হবে।

আর হ্যাঁ, ইউনিভার্সিটি এডমিসন পরীক্ষায় হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে প্রস্তুতিতেও এই পোস্ট টি হেল্পফুল হবে। বই পড়তে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন Bangla Books PDF থেকে।

যাইহোক, মুল প্রসঙ্গে আশা যাক! আমরা শুরু করি কেমন!

 

নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ অষ্টম অধ্যায়

নগদান বই

 

  • নগদান বইয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়- নগদ প্রাপ্তি ও পরিশোধসমূহ।
  • নগদান বই কখনও দেখাতে পারে না- ক্রেডিট ব্যাল্যান্স।
  • নগদান বই সবসময়- ডেবিট উদ্বৃত্ত প্রকাশ করে।
  • নগদান বইয়ের জের বের করা হয়- দৈনিক ভিত্তিতে।
  • নগদান বইয়ের ডেবিট দিকে লেখা হয়- সকল নগদ প্রাপ্তি।
  • নগদান বইয়ের ক্রেডিট দিকে লেখা হয়- সকল নগদ পরিশোধ।
  • একটি নির্দিষ্ট দিনে ব্যবসায়ে নগদ টাকা কত আছে তা জানা যায়- নগদান বই দেখে।
  • নগদ তহবিলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে- নগদান বই।
  • নগদান বই জাবেদা ও খতিয়ানের সুবিধা ভোগ করে ফলে- প্রচুর সময় ও শ্রম বাঁচে।
  • নগদান বই লেখা অসম্পূর্ণ রাখা যায় না।
  • নগদান বই- জাবেদা ও খতিয়ান উভয়ই।
  • নগদান বইয়ের প্রতিটি দাখিলার ব্যাখ্যা দেওয়া হয় বলে তাকে বলা হয়- জাবেদা।
  • জাবেদা ও নগদান বইয়ের জের স্থানান্তর করা হয়- রেওয়ামিলে।
  • খতিয়ান ও নগদান বইয়ের ছকে মিল পাওয়া যায়- খতিয়ান পৃষ্ঠা।
  • নগদান বইকে সমান অংশে ভাগ করতে হয়- ২টি।
  • নগদান বইয়ের সমাপনী ব্যাল্যান্স নির্দেশ করে- হাতে নগদ তহবিল।
  • নগদান বইতে ক্রেডিট ব্যাল্যান্স হতে পারে না কারন- নগদ টাকা প্রাপ্তির চেয়ে নগদ টাকা পরিশোধ বেশি হতে পারে না।
  • সাধারণত নগদান বই- ৪ প্রকার।
  • একঘরা নগদান বই কখনও দেখাতে পারে না- ক্রেডিট জের।
  • একঘরা নগদান বই সর্বদা প্রকাশ করে- ডেবিট উদ্বৃত্ত।
  • একঘরা নগদান বইয়ে মোট কলাম থাকে- ১০টি।
  • দুঘরা নগদান বইয়ে মোট কলাম থাকে- ১২টি।
  • তিনঘরা নগদান বইয়ে মোট কলাম থাকে- ১৪টি।
  • যে নগদান বইয়ে নগদ এবং ব্যাংকসংক্রান্ত লেনদেন লেখা হয়- দুঘরা নগদান বই।
  • দুঘরা/ তিনঘরা নগদান বইয়ের ব্যাংকের ঘরে ক্রেডিট উদ্বৃত্ত- ব্যাংক জমাতিরিক্ত নির্দেশ করে।
  • দুঘরা/ তিনঘরা নগদান বইয়ের ব্যাংকের ঘরে ডেবিট উদ্বৃত্ত- ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ নির্দেশ করে।
  • প্রারম্ভিক ব্যাংক জমাতিরিক্ত দুঘরা বা তিনঘরা নগদান বইয়ে লেখা হয়- ক্রেডিট দিকে ব্যাংক ঘর।
  • চেক পাওয়া গেলে তা দুঘরা বা তিনঘরা নগদান বইয়ে- ডেবিট দিকে ব্যাংক ঘরে লেখা হয়।
  • চেক দ্বারা কোনো দেনা পরিশোধ করা হলে তা দুঘরা বা তিনঘরা নগদান বইয়ের- ক্রেডিট দিকে ব্যাংক ঘরে লেখা হয়।
  • চেক পেয়ে ব্যাংকে জমা দিলে- ডেবিট দিকে ব্যাংক ঘরে লেখা হয়।
  • নগদান বইতে কন্ট্রা শব্দটি বা (C) লিখতে হয় যখন- ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ব্যাংক হতে টাকা উঠানো এবং ব্যাংক জমা দেওয়া হয়।
  • কন্ট্রা এন্ট্রি অর্থ- বিপরীত দাখিলা।
  • বিপরীত দাখিলার ক্ষেত্রে লেখা হয়- সি বা ক।
  • তিনঘরা নগদান বইতে জের টানা হয় না- বাট্টাসংক্রান্ত লেনদেনে।
  • কারবারি বাট্টা- আদৌ নগদান বইতে হিসাবভুক্ত হয় না।
  • ধারে মাল ক্রয় বা বিক্রয় নগদান বইয়ে হিসাবভুক্ত হয় না।
  • কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ব্যাংকে হিসাব খুললে তাকে বলে- আমানতকারী।
  • ব্যাংক হিসাব প্রধানত- তিন প্রকার।
  • আমানতকারী ব্যাংক হিসাবের পূর্ণ বিবরণ উল্লেখ করে যে বিবরণী প্রস্তুত করা হয় তাকে বলে- ব্যাংক বিবরণী।
  • ব্যাংক বিবরণীর উদ্বৃত্ত ও নগদান বইয়ের ব্যাংক কলামের উদ্বৃত্ত গরমিলের কারণ চিহ্নিতপূর্বক যে বিবরণী প্রস্তুত করা হয় তাকে বলে- ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী।

 

সবাইকে ধন্যবাদ এবং আর হ্যাঁ যেকোনো বিষয়ে ভালো দক্ষ হতে হলে প্রয়োজন অধ্যবসায়। আর হিসাববিজ্ঞান যেহেতু একটি প্র্যাকটিস এর সাবজেক্ট।  তাই বহুনির্বাচনী পরীক্ষার পাশাপাশি অঙ্কগুলোতে ভালো করার জন্য প্রয়োজন বুজে বুজে প্র্যাকটিস করা। তাহলেই হিসাববিজ্ঞান আয়ত্তে চলে আসবে।





About সালাউদ্দিন ব্যাপারী 28 Articles
সালাউদ্দিন ব্যাপারী পেশায় একজন এডুক্যাশনাল ব্লগার এবং শিক্ষক। তিনি হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে বিবিএ এবং এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। লিখতে ভালোবাসেন। শিক্ষামূলক বিষয় ভালোমানের লেখা দিয়ে ফুটিয়ে তোলাই তার শখ এবং লক্ষ্য।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*