নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ ষষ্ঠ অধ্যায় জাবেদাঃ পার্ট ২

Advertisements

জাবেদা হিসাবরক্ষন তথা হিসাববিজ্ঞান শেখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। কারন, হিসাবের বইতে লেনদেন লিপিবদ্ধকরণের প্রাথমিক বা প্রথম ধাপই হচ্ছে লেনদেনগুলোকে জাবেদাভুক্তকরণ।

জাবেদা নিয়ে প্রথম অংশ আলোচিত হবার পর এখন দ্বিতীয় অংশটি এখানে আলোচনা করা হবে। যারা প্রথম অংশটি দেখার আগ্রহবোধ করছেন, তারা এখানে গিয়ে দেখে আসুন

নবম-দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞানঃ এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ অধ্যায়  ষষ্ঠ

জাবেদা

part 2

 

  • জাবেদা বলতে বোজায়- লেনদেনের ডেবিট-ক্রেডিট বিশ্লেষণ।
  • হিসাব সংরক্ষণে লেনদেনসমূহ সংরক্ষিত হয়- দুটি পর্যায়ে।
  • লেনদেনগুলোকে প্রথমে লেখা হয়- জাবেদায়।
  • জাবেদাকে বলা হয়- হিসাবের প্রাথমিক বই, সহকারী বই, দৈনিক বই।
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির প্রথম সোপান হলো- জাবেদা বই।
  • জাবেদায় দাখিলা প্রণয়ন করা হয়- লেনদেনের স্বপক্ষে প্রমাণপত্র বা উৎস দলিল পাওয়ার সাথে সাথে।
  • জাবেদাভুক্তিকালে প্রধান কাজ হলো- প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ বিশ্লেষণ করা।
  • প্রত্যেকটি জাবেদা দাখিলার নিচে লেনদেনের সংঘটনের কারনসহ ব্যাখ্যা দিতে হয়।
  • প্রতিটি লেনদেনের উৎপত্তির কারন জানা যায়- জাবেদা বইয়ের মাধ্যমে।
  • জাবেদার ছকে মোট ঘরের সংখ্যা- ৫টি।
  • ভবিষ্যতে লেনদেন সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য পাওয়া যায়- জাবেদা থেকে।
  • জাবেদার ছকে বিবরণ শব্দটির পরিবর্তে লেখা যায়- হিসাবের নাম ও ব্যাখ্যা।
  • যে নামে কোনো হিসাব লেখা হয় না- পণ্য, মাল এবং চেক।
  • ধারে বিক্রয়ের বেলায় কারো নাম না থাকলে ডেবিট হবে- দেনাদার হিসাব।
  • ধারে ক্রয়ের বেলায় কারো নাম না থাকলে ক্রেডিট হবে- পাওনাদার হিসাব।
  • অফিসে ব্যাবহারের জন্য কাগজ, কালি, পিন ক্রয় করা হলে ডেবিট করতে হয়- মনিহারি হিসাবকে।
  • মালিকের ব্যক্তিগত অর্থ দ্বারা কারবারের জন্য সম্পত্তি ক্রয় করলে ক্রেডিট হবে- মূলধন হিসাব।
  • মালিকের ব্যক্তিগত অর্থ দ্বারা কারবারের কোনো খরচ প্রদান করলে- মূলধন হিসাব ক্রেডিট হয়।
  • ব্যক্তিগত টাকা হারিয়ে গেলে- ব্যবসায়ের কোনো ক্ষতি হয় না।
  • জাবেদা থেকে সহজ হয়- খতিয়ান করা।
  • যেসব লেনদেন অন্য কোনো জাবেদা বা সহকারী বইয়ে লিপিবদ্ধ করা যায় না, সেগুলোকে লিখতে হয়- প্রকৃত জাবেদায়।
  • প্রাথমিক হিসাবের বইগুলো হলো- ক্রয় জাবেদা, বিক্রয় জাবেদা, ক্রয় ফেরত জাবেদা, বিক্রয় ফেরত জাবেদা, নগদ প্রদান জাবেদা, নগদ প্রাপ্তি জাবেদা।
  • একটি চলমান প্রতিষ্ঠানের গত হিসাব সালের সম্পত্তি ও দায়সমূহ বর্তমান বছরের নতুন হিসাব বইতে আনা হলে তাকে বলে- প্রারম্ভিক দাখিলা।
  • ক্রয় জাবেদায় সাধারণত ঘর বা কলাম থাকে- ৬টি।
  • বিক্রয় জাবেদায় সাধারণত ঘর বা কলাম থাকে- ৫টি।
  • জাবেদা থেকে জানা যায়- মোট লেনদেনের সংখ্যা, মোট অর্থের পরিমাণ, লেনদেন সংঘটিত হওয়ার কারন।
  • প্রকৃত জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়- সংশোধনী জাবেদা, সমন্বয় জাবেদা, সমাপনী জাবেদা, প্রারম্ভিক জাবেদা।
  • ক্রয় জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়- সকল বাকিতে পণ্য ক্রয়।
  • বিক্রয় ফেরত জাবেদার উৎস দলিল- ক্রেডিট নোট।
  • জাবেদাকে হিসাবের সহকারী বই বলার কারন- জাবেদা খতিয়ানের সহকারী বই।
  • ডেবিট নোট তৈরি করে- ক্রেতা বা ক্রয় ব্যবস্থাপক।
  • ডেবিট নোটের সাহায্যে লেখা হয়- ক্রয় ফেরত জাবেদা।
  • ক্রেডিট নোটের সাহায্যে লেখা হয়- বিক্রয় ফেরত জাবেদা।
  • ক্রেডিট নোট তৈরি করেন- বিক্রেতা বা বিক্রয় ব্যবস্থাপক।
  • বিশেষ জাবেদাকে ভাগ করা হয়েছে- ৬ ভাগে।
  • প্রকৃত জাবেদা- ৪ প্রকার।
  • কোনো বস্তুর নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে ক্রয় সম্ভব হলে, যতটুকু মূল্য কম পরিশোধ করা হয় তাকে বলে- বাট্টা।
  • ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে দেনা-পাওনার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিক্রেতাকে যে টাকা ছাড় দেয়া হয় তাকে বলে- নগদ বাট্টা।
  • কোনো দ্রব্যের তালিকা মূল্যের ওপর যে বাট্টা হিসাব করা হয় তাকে বলে- কারবারি বাট্টা।
  • বাট্টা অর্থ- ছাড় বা মওকুফ।
  • বাট্টা প্রদত্ত হয়- দেনাদারকে।
  • নগদ বাট্টা- ২ প্রকার।
  • কারবারি বাট্টা- ২ প্রকার।
  • নগদ টাকায় পরিশোধ করা হয় না- প্রদত্ত বাট্টা।
  • নগদ টাকায় পাওয়া যায় না- প্রাপ্ত বাট্টা।

উপরে জাবেদার উপর আমরা সম্ভাব্য MCQ Helpline দেখলাম। আশা করা যায় উপরোক্ত তথ্যগুলো আয়ত্তে আনতে পারলে জাবেদার উপর বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরে হেল্প পাওয়া যাবে।

এইসব তথ্যগুলো ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায়ও অনেক অনেক হেল্পফুল হবে।


My Blog: Bangla Book Download PDF

Leave a Comment