সরকারি সফর আলী কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয় এ কলেজ বাস প্রসঙ্গে

আড়াইহাজারের  প্রাণকেন্দ্র ঢাকা-ফেরিঘাট মহাসড়কের গা-ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে আছে সরকারি সফর আলী  কলেজ কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়। সকাল ৯ টা থেকেই মুখরিত হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস। অবসর সময়ে কিংবা ক্লাসের ফাঁকে তারা আড্ডা বসায় ঘাসের পিঁড়িতে,পুকুর ঘাটে, ক্যান্টিনে বা বকুলতলায়। বাদামের খোসা ছড়ায়। খুনসুঁটি করে। এক সকালে ক্যাম্পাসে দেখা গেলো এমনি এক দৃশ্য। মাঠে গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। ক্লাস এখনো শুরু হয়নি। একটু আগেভাগে এসেছেন তারা। তাদের কাছেই জানতে চাই, কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস।IMG_20141017_215904

কথায় কথায় আড্ডা জমে ওঠে। মানবিক বিভাগে পড়ুয়া ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ ভালো গান গায়। বন্ধুদের অনুরোধে সে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলো। দূরে হেঁটে যাচ্ছিল একজন ঝাল মুড়িওয়ালা। তাকে ডাক দিয়ে আনা হলো। কেনা হলো ঝাল মুড়ি। খেতে খেতে কথা চললো।

কেমন লাগে এ কলেজে পড়তে? সুযোগ-সুবিধা কেমন? প্রশ্ন করতে আড্ডারুরা জবাব দেয়। মোস্তাফিজুর জানালেন, ‘এখানে পড়তে ভালোই লাগে। শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক। জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিভাবক সফর আলী  কলেজ। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। কেউ কেউ আসে পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদী, বি-বাড়িয়া  থেকে। কিছুটা আক্ষেপের স্বরেই তিনি জানালেন। কিন্তু কলেজটির নিজস্ব যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধের নয়। কলেেজর নির্দিষ্ট কোন  বাস নেই। এছাড়া আর সুযোগ-সুবিধা ভালোই। পর্যাপ্ত হল, খেলার মাঠ, কলেজ লাইব্রেরী রয়েছে কলেজটিতে।তাই শিক্ষাথীদের জোর আবেদন,যেন অতি শীঘ্রই কলেজ বাস দিয়ে শিক্ষাথীদের অনুপ্রাণিত করেন।

দীর্ঘক্ষণ চুপ করে থাকা মানবিক বিভাগের সৌরভ মুখ খুললেন। বললেন— ‘কলেজটি জেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *