বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রস্তুতি

আসসালামু আলাইকুম, এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী ভাই-বোনেরা নিশ্চয় সবার পরীক্ষা ভাল হয়েছে ।ইতিমধ্যেই হয়ত প্লান করে দিয়েছ কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফর্ম তুলবে আর কোন কোন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে চাও । আমি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে এজন্য কিছু তোমাদের উদ্দেশ্যে কথা বলতে চাই যেটা তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধে কাজে আসতে পারে । তোমরা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জন্য ইতিমধ্যে পড়াশুনা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছ , আশা করি ইনশাআল্লাহ সবাই সফল হবে ।

Bangladeshi-All-Public-University

প্রস্তুতির আগে যেটা মাথা রাখা উচিত সেটা হচ্ছে,  রেজাল্ট যাই হোক, A+ হোক বা  না হোক তাতে আসে যায় না, নূন্যতম কোয়ালিফাই করার পয়েন্ট যদি তুমি এইচ.এস.সি তে অর্জন করতে পার, তাহলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া সম্ভব । যদি সেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কোরিং না থাকে রেজাল্টের উপর । যতদূর জানি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজাল্টের স্কোরিং কে এই গুরুত্ব দেওয়া হয় না । তো যাই হোক এখন মূল কথায় আসা যাক, এইচ.এস.সি তে আমরা যে স্ট্যাইলে পড়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য পড়ার সিস্টেমটা একটু আলাদা । এই কথা যদিও তোমরা অনেকে ভর্তি কোচিং এর ভাইয়াদের কাছেই শুনে থাকবে তবু বললাম । সেক্ষেত্রে পড়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ।

বিশেষ করে যারা সাইন্সের শিক্ষার্থী গণিতের ব্যাপারে যেটা বলব, সেটা হচ্ছে আমরা এইচ.এস.সিতে যে ম্যাথগুলা করেছি , ঐগুলাই ভর্তি পরীক্ষায় আসবে আর খুব অল্প সময়ে নৈবাত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে । তাই এই ম্যাথগুলা solve করার জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে । সেগুলা তোমরা ম্যাথ প্লাস জাতীয় বই থেকে শিক্ষতে পারবে । সেগুলা নিয়মিত চর্চা করা । যাতে পরীক্ষার হলে দ্রুত সময়ে প্রশ্নের উত্তরগুলা করে আসা যায় । অন্যান্য সাবজেক্ট এর মধ্যে ফিজিক্সের ক্ষেত্রে অংক বেশি করতে হবে , কারণ অংক ই বেশি আসবে , তাছাড়া কিছু কথার প্রশ্ন আসবে এক্ষেত্রে আমির হোসেন ইসহাকের ফিজিক্স বইয়ের বিকল্প নেই । কেমিস্ট্রি ক্ষেত্রে বিক্রিয়া ভাল করে বুঝে বুঝে করতে হবে আর বিজ্ঞানীদের নাম এবং তাদের আবিষ্কারের সাল এইগুলা মনে রাখা জরুরি । এছাড়া ছোট ছোট সংজ্ঞা খুবই গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে । সাল এবং বিজ্ঞানীদের নাম, আবিষ্কার এইগুলার জন্য কবিরুল হকের কেমিস্ট্রি বইটা দেখতে পার আর বিক্রিয়ার জন্য হাজারীর বইয়ের বিকল্প নেই । তাছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরগুলার প্রশ্ন প্রতিদিন Solve করা উচিত । বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।

আর এইচ.এস.সি পরীক্ষার পরে রেজাল্টের পূর্ব থেকে যদি এর জন্য প্রস্তুতি নিতে না থাক তবে, রেজাল্টের পর এত কম সময় পাবে যা প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট নয় । এই সময়গুলা জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ । এই সময়টুকু তোমরা যদি কাজে লাগাতে পার তবে জীবনটাই পরিবর্তন হয়ে যাবে । তাই পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়া অত্যাবশ্যক । সুতরাং ৩/৪ মাসে পরিশ্রম যদি তোমার জীবনে নতুন সম্ভবনার দ্বার উম্মোচন করে দিতে পারে, তাহলে কেন পরিশ্রম করে পড়াশুনা করবে না !

আর্টস আর কমার্সের ভাইবোন দের জন্য কিছু কথা এই যে, তোমরা তোমাদের সাধ্যমত বেশি বেশি পড়াশুনা কর । বিশেষ করে ইংরেজিটাতে বেশি গুরুত্ব দিবে সাথে সাথে সাধারণ জ্ঞান এর জন্য । ইংলিশ জন্য preposition, pharse-idoms, voice, narration , analogy , translation এইগুলা বেশি বেশি করে করবে । এজন্য Appex বইটা ফলো করতেপার, তাছাড়া অন্য বই ও ইচ্ছা করলে ফলো করতে পার ।

 

বেশি বেশি চেষ্টা কর , সাফল্য নিজেই এসে ধরা দিবে । আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো যাতে সফল হতে পার । এতক্ষণ কষ্ট করে আমার লেখা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ তোমাদের জন্য শুভ কামনা রইল ।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*