‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ
আর নেইর সেই আড্ডাটা আজ
আর নেই আজ আর নেই, কোথায়
হারিয়ে গেল
সোনালি বিকেলগুলো সেই, আজ
আর নেই …।’_ এ
গানটি ভালোভাবে শুনলে ক্যাম্পাসের
একটি
পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে।
কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
থাকবে অথচ
আড্ডা থাকবে না এটা ভাবাই
যায় না। আর একটু আগ
বাড়িয়ে বললে বলতে হয়,
যে ক্যাম্পাসে আড্ডা নেই
সেটি আসলে কোনো ক্যাম্পাসই
নয়। কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে ডিগ্রি নিয়ে যারা বর্তমান
ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন
আড্ডার কথা বললে তারা আজও
হারিয়ে যান অতীতের সেই
ক্যাম্পাস জীবনে। তাদের মনের
দুয়ারে উঁকি দেয় সেই ক্যাম্পাস
জীবনের অসংখ্য ঘটনা।
‘জীবনে অর্থই সব সুখের মূল নয়।
অর্থের প্রয়োজন আছে; কিন্তু এটাই
সব কিছু নয়। জীবন আনন্দ- হাসি,
বেদনা, অশ্রু, কষ্ট_ এসব শুধু অর্থের
মূল্যে পরিমাপ করা ঠিক নয়।
আত্মিক সুখই একজন মানুষকে প্রকৃত
সুখী করে তোলে।’
দেশের সরকারি কলেজ/
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
মধ্যে মুক্তবুদ্ধি ও সংস্কৃতি চর্চার
চারণ ক্ষেত্র প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যে ভরপুর সরকারি সফর
আলী কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস। এ ক্যাম্পাসের
শিক্ষার্থীরা আড্ডার
মধ্যে খুঁজে পায়
নিজেকে নিজের মতো করে সুপ্ত
প্রতিভা বিকাশের। কলেজ/
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক
দিয়ে ঢুকতেই
বাঁ দিকে চোখে পড়বে নজর
কাড়া বৃক্ষ শোভিত নীল জলরাশির
সুদীর্ঘ পুকুরটি। পুকুরের অপূর্ব নীল
জলরাশিতে নানা প্রজাতির
মাছের বিচরণ আগন্তুকদের
করে বিমোহিত। পুকুরটির
দু’পাশে সারি সারি মেহগনি,কৃষ্ণচূড়
নানা প্রজাতির গাছ।
মাঠের পূর্ব পাশে রয়েছে সুন্দর
একটা পুকুর। পুকুরটির
তিনদিকে বসে বন্ধুবান্ধবের
আড্ডা। বিভাগ থেকে একটু
সামনে এগোলে রয়েছে
একটি সুসজ্জিত বাগান ও বকুল গাছ,
যা লাভ রোড নামে পরিচিত।
এখানে রয়েছে ছাত্রীদের
একমাত্র আবাসিক কমন রুম। এর
সামনে লাভ চত্বরে চলে প্রেমিক-
প্রেমিকাদের আড্ডা। কলেজ/
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন
স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব
চত্বর এবং স্থাপনা কখন যে সবার
আড্ডাস্থলে পরিণত
হয়েছে তা বলা মুশকিল। এসব চত্বরই
এখন প্রাণ দেয় ক্যাম্পাসকে। এসব
পয়েন্ট বা স্পট
ফাঁকা থাকলে মনে হয় ক্যাম্পাস
প্রাণহীন। মনের যাবতীয় সুখ
কিংবা দুঃখ একে অপরের
সঙ্গে ভাগাভাগি করে মনকে হালক
এক অনন্য মাধ্যম এ আড্ডা।
একজন ছাত্র হিসেবে আমার
মতে,আড্ডা বিনোদনের এক
চমৎকার মাধ্যম। কলেজ/
বিশ্ববিদ্যালয়
কিংবা কলেজে ভর্তি হওয়া শুধু
একাডেমিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে নয়,
এখানে শেখা হবে গঠনমূলক,
সৃজনশীল, তথ্যমূলকসহ আরও অনেক
কিছু। আর তা সবই
হলো পড়াশোনা ও আড্ডার
মাধ্যমে। এর মাধ্যমে অর্জন
করা যায় নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা।
আড্ডার ধরন : এ
ক্যাম্পাসে আড্ডার ধরন কয়েক
রকমের। যেমন গ্রুপিং আড্ডা,
পার্সোনাল আড্ডা।
গ্রুপিং আড্ডা_ যা অনেক
বন্ধুবান্ধব
মিলে যে আড্ডা দেওয়া হয়।
পার্সোনাল আড্ডা_ যা প্রেমিক-
প্রেমিকা দু’জনে মিলে।
এছাড়াও রয়েছে সকালে- দুপুরে,
বিকেলে ও রাতে আড্ডা।
ঘুমাতে গিয়ে রুমে আড্ডার অন্ত
নেই। ক্লাসের
ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা, স্যার
ক্লাসে না এলে তো মহাখুশি।
ক্লাসে কিংবা বাইরে এসে বন্ধুরা
মিলে জম্পেশ আড্ডা। এভাবেই
কেটে যায়
জিএসএসি ক্যাম্পাসের
শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিনগুলো।
Leave a Reply