” বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে/
বীরের রক্তে প্রতিষ্ঠিত দেশ ”
০১। প্রশ্ন : কোথায় সিপাহি মুন্সী আবদুর রউফ অন্তিম শয়ানে শায়িত আছেন?
উত্তর: বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে মুন্সী আবদুর রউফ ছিলেন অন্যতম। সিপাহি মুন্সী আবদুর রউফ রাঙামাটির বোর্ড বাজারে অন্তিম শয়ানে শায়িত আছেন, তিনি একজন বীরশ্রেষ্ঠ।
০২। প্রশ্ন : রুহুল আমিন কাদের হাতে শহিদ হয়েছিলেন? কীভাবে ?
উত্তর : রুহুল আমিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ। পাকিস্তানি হানাদারদের এ দেশের কিছু মানুষ সাহায্য করেছিল, এদেরকে রাজাকার বলা হয়। এদের হাতেই শহিদ হন বীরযোদ্ধা রুহুল আমিন। যেভাবে শহিদ হয়েছিল: ডিসেম্বরের ১০ তারিখ মুক্তিযোদ্ধাদের নৌজাহাজ পলাশ আর পদ্মা খুলনার দিকে যাচ্ছিল। এর কিছুদিন আগে তারা মংলা বন্দর দখল করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রুহুল আমিনও ছিলেন। জাহাজ বহর খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে আসতেই একটা বোমারু বিমান জাহাজে বোমা ফেলে। রুহুল আমিন নদীতে ঝাঁপ দেন। সাঁতরে তীরে ওঠার চেষ্টা করেন। তীরের কাছে আসতেই রাজাকারদের সামনে পড়ে যান। রাজাকাররা তাঁকে হত্যা করে, এভাবেই শহিদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
‘ বই হুমায়ুন আজাদ ‘
প্রশ্ন-১। কোন ধরনের বই পড়া উচিত? কেন?
উত্তর: ‘বই’ কবিতায় কবি হুমায়ুন আজাদ বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। যে ধরনের বই পড়া উচিত: যে বই আমাদের মানবিক গুণসম্পন্ন করে তোলে, যে বই আলোকিত করে, স্বপ্ন দেখায়, আমাদের মাঝে শুভ-চিন্তা জাগায়, আমাদের মনকে সুন্দর করে, সে ধরনের বই পড়া উচিত। কারণ: বই আমাদের জ্ঞান দেয়। আমাদের মনে শুভ-চিন্তা জাগিয়ে তোলে। ভালো ও মন্দের বিচার করতে শেখায়। আমাদের স্বপ্ন দেখায়। আমাদের ভালো মানুষ হওয়ার পথ
দেখায়। এ কারণে মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হতে হলে আমাদের শুভ-চিন্তার বইগুলো পড়তে হবে। বইয়ের পাতায় পাতায় জ্ঞান ছড়িয়ে থাকে। তাই আমরা প্রকৃত মানুষ হতে ভালো বই পড়ব।
প্রশ্ন-২। কোন বই পড়া উচিত নয়? কেন পড়া উচিত নয়?
উত্তর: হুমায়ুন আজাদ ‘বই’ কবিতায় জ্ঞানের কথা বলেছেন। মানুষকে জ্ঞান অর্জন করতে বই পড়তে হবে। তবে সব বই তা পারে না। যে বই পড়া উচিত নয়: যে বই আমাদের মনকে ক্ষুদ্র করে, স্বার্থপর করে, মনে হিংসা জাগায়, আমাদেরকে অন্ধকারের গর্তে ঠেলে দেয় সে বই আমাদের পড়া উচিত নয়।
কারণ: বই মানুষকে মানবিক করবে, আলোকিত করবে। ভালো-মন্দের বিচার করতে শেখাবে। এটাই বইয়ের ধর্ম। কিন্তু তা না করে কোনো বই যদি আমাদের স্বার্থপর করে তোলে, মনকে করে তোলে হিংসায় ভরপুর, প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে সে বই আমাদের পড়া উচিত নয়।
বই আমাদের আলোকিত করে। কিন্তু কোনো বই এ কাজ না করে যদি আমাদের স্বার্থপর করে, তবে সে বই পড়া উচিত নয়।
প্রশ্ন-৩। বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে বইয়ের পাতা স্বপ্ন বলে।’ কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘বই’ কবিতাটি কবি হুমায়ুন আজাদ রচিত। এ কবিতায় কবি বইয়ের বিভিন্ন গুণের কথা তুলে ধরেছেন। ‘বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে’- বলতে যা বোঝায়: বই সুন্দর ও শুভ চিন্তা ভাবনার কথা বলে। মনের স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে। মনকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে। আমাদের মনে শুভ ভাবনার
প্রদীপ জ্বালিয়ে দেয়। সেই আলোয় আমরা ভালো মন্দ বিচার করতে পারি। স্বার্থপরতা ও মন্দ চিন্তাকে দূর করে ভালো মানুষ হয়ে উঠি। কবি ‘বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে’-বলতে এ বিষয়টিই বুঝিয়েছেন।
Leave a Reply