বিসিএস-এ মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা আসছে

BCS

বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বর রাখার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী  আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ রাখে। সেজন্য পাঠ্যসূচির সঙ্গে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বিসিএসেও মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বর রাখার জন্য কার্যক্রম চলছে। ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্মৃতি রক্ষার্থে সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন ব্যাপক পরিকল্পনা ও র্কর্মসূচির কথাও এ সময় উল্লেখ করেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে হানাদার বাহিনীর টর্চার সেল মোহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা কলেজ প্রাঙ্গণেনে ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণ বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের  বিবেচনায় রয়েছে। সামশুল হক ভুইয়ার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আগরতলা ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের ২৩ বছরের ইতহাসকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কথা ভাবা যায় না। কারণ, ইতিহাসের একটি ‍গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তাই এ ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যারা অভিযুক্ত ছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে ওই সময় অভিযোগ আনা হয়েছিল, নিঃসন্দেহে তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তদের ব্যক্তিদের অবশ্যই যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা হবে। সেই স্বীকৃতি তারা পাবেন।

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রসঙ্গ তুলে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমান সরকার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা নির্ধারিত করেছে। এতে যারা ১৯৭১ সালে মহান জাতীয় সংসদের এমএলএ-এমএলএন ছিলেন, তার মধ্যে যারা পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেছিলেন, সেই কয়েকজন গাদ্দার ছাড়া বাকি সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া, মুজিবনগর সরকারের যত কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রীয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যারা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেছেন, যারা সাংবাদিকতা করেছেন, যারা স্বাধীন বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেছেন, যারা শিল্পী ও কলাকুশলী ছিলেন,  তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। এমনকি যারা ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন, তারাও বিবেচিত হবেন।

বর্তমানে ১ হাজার ১১৩টি প্রতিষ্ঠানে ইটিপি

নুরুল ইসলাম সুজনের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশে ইটিপি স্থাপনযোগ্য এক হাজার ৪৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক হাজার ১১৩টিতে ইটিপি স্থাপন করা হয়েছে। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২ হাজর ১১৯টি দূষণকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের বিরুদ্ধে ২০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করে ১৩১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

সুবিদ আলী ভুঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা না থাকায় দূষণকারী ৭৩১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

এ বছরে যুক্ত হচ্ছে সাবমেরিন

মুহিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের জন্য চীনের তৈরি করা সাবমেরিন নৌবাহিনীর বহরে যোগ হবে। নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর চীন থেকে সাবমেরিন টাইপ ০৩৬জি কেনার চুক্তি হয়। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার ও নজরদারি বাড়াতে চারটি এয়ার ডিফেন্স রাডার কেনা হয়েছে। আগামী জুনে চীন থেকে আরও একটি রাডার বাংলাদেশে আসবে।





About লেখাপড়া বিডি ডেস্ক 1515 Articles
লেখাপড়া বিডি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*