আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন । যারা যারা এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাচ্ছেন তাদের এই টিউনটি কাজে আসতে পারে ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বাংলাদেশে দুটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে Software Engineering এ B.Sc করার সুযোগ রয়েছে ।
তার মধ্যে একটি হচ্ছে,
১। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (DIU) ।
অন্যটি,
২।আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (AIUB) .
দুটা ইউনিভার্সিটিই বাংলাদেশের ভাল ইউনিভার্সিটি নিঃসন্দেহে । AIUB অনেক আগের থেকেই ভাল । সাম্প্রতিক সময়ে DIU ও বেশ ভাল করছে । তাদের শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে ভালো ভালো অবদান রাখতে পারছে । এছাড়া ইন্টারন্যাশনালিও বেশ সুনাম কুড়িয়েছে । আপনারা দুটা ইউনিভার্সিটির যেকোন একটিতে software Engineering করলে ঠকবেন না , এটুকু বলতে পারি ।
দুটা ইউনিভার্সিটির Software Engineering এর সিলেবাসে কিছু ভিন্নতা রয়েছে । তবে কি কি বিষয় Software Engineering এ পড়ানো হয় কমনলি সেটা এখন আপনাদের তুলে ধরব ।
১। Computer Fundamentals.
২। Introduction to Software Engineering
৩। Software Requirement Analysis & Design.
৪। Software Project Management.
৫। Data Structure.
৬। Computer Algorithm.
৭। Software Testing & Quality Assurance .
৮। Programming C, Java, .net.
৯। Introduction to Database.
১০। Operating System
১১। Documentation of Software Engineering.
১২। System analysis & Design.
১৩। System Security.
১৪। Desktop & web programming .
১৫। Software Engineering & Cyber laws.
এছাড়া ইউনিভার্সিটি ভেদে আরো কিছু কোর্স অফার করা হয়ে থাকে চার বছরের এই B.Sc কোর্সে ।
একজন software Engineer এর কর্মক্ষেত্রঃ
Software Firm এঃ একজন Software Engineering পড়ার পরে বিভিন্ন software firm এ নিম্ন উক্ত পদে চাকরি করার সুযোগ পাবে যদি সে দক্ষ হয়,
১. Requirement এনালাইটিস্ট হিসেবে ।
২. প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে ।
৩. ডেভেলপার হিসেবে ।
৪. Software Tester হিসেবেও চাকরি করতে পারবে ।
আমরা যদি উপরোক্ত পদসমূহের বেতন কাঠামো যদি গুগুলে সার্চ দেই তবে সহজে দেখতে পারব কত হাই স্কেলের বেতন ।
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইটি সেক্টরেঃ একজন software Engineering করে software firm গুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইটি সেক্টরেও কাজ করার সুযোগ পাবে ।
ফ্রীল্যান্সিং জবঃ বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত পেশা ফ্রীল্যান্সিং করেও একজন দক্ষ software Engineer অর্থ উপার্জন করতে পারবে । অনলাইনের বিভিন্ন মার্কেট প্লেস (Odesk, Freelancer, Elance) এর কাজগুলো সার্চ করলেই দেখা যাবে, কত কাজ পড়ে আছে অনলাইনে । শুধু এখন প্রয়োজন দক্ষ ব্যক্তির ।
তাই, আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আগ্রহী থাকেন, তবে Software Engineering বিষয়টি আপনার পছন্দের তালিকাতে রাখতে ভুলবেন না ।
ইনশাআল্লাহ পরবর্তি পোস্টগুলোতে আপনারদেরকে Software Engineering এর বিভিন্ন কোর্স সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ।
Leave a Reply