৩য় বর্ষের পরীক্ষার্থীরা Must পড়বেন আর বাকি সেশন এর ছাত্রছাত্রীরা ও পড়বেন আমার এই পোষ্টটি। কারন এমন সময় বাকি সেশন গুলোর জীবনেও ঘটতে পারে।

৩য় বর্ষের ছাত্রছাত্রী যারা আছেন আমার ছোট একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন আশা করি…………Naim

আপনারা যারা আন্দোলন করছেন পরীক্ষা ১ মাস পেছানো হোক ভাল কথা, ধরুন একমাস পিছিয়ে দেওয়া হলো। আপনারা ১মাস পড়তে পারলেন পরীক্ষা একটু ভাল হলো। তাও ভাল কথা………

এবার আসেন আমার সাথে যুক্তিতে…….. আপনাদের রুটিন একমাস আগে দেওয়া হয়েছে, আপনারা রুটিন দেখে সন্তুষ্ট না সেজন্য আন্দোলন করছেন। আচ্ছা ভাই আন্দোলন না করে যদি আপনি রুটিন প্রকাশের পর পরই পড়াশোনায় ব্যয় করতেন তাহলে কি ভাল হতো না?? আপনারা ২০ ফ্রেব্রুয়ারির আগে পর্যন্ত আন্দোলন করবেন ১ মাস পেছানো হবে পরীক্ষা, কিন্তু সেই একই সমস্যা থেকে যাবে। আপনারা এই ১ মাস পড়তে পারবেন। কারন এই ১ মাস আন্দোলন এর কাজে আপনাদের বিজি থাকতে হবে। আন্দোরন জোরদার না হলে জাবি কিছুতেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে না।। সুতরাং রুটিন দেওয়ার পর থেকে ১ মাস আন্দোলন করলেন। দেখা গেলো জাবি ১ মাস সময় পিছিয়ে দিলো।।।।। এই ১ মাস পেছানোর জন্য আপনি ১ মাস আন্দোলন করলেন।। হাইরে ভাই একমাস সময় এর জন্য ১ মাস আন্দোলন না করে যদি এই ১ মাস পড়তেন তাহলে কি আপনি ১ মাস আন্দোলন করে পাওয়ার চাইতে রুটিন এর আগের একমাস পড়াশোনা করলে ভাল কিছু কি করতে পারতেন না??? আশা করি উত্তরটা দিবেন সহজ ব্রেনে একটু চিন্তা করুন——— আর একটু ভাবুন দেখুন ঘটনা কি দাড়ায়।

টাক মাথায় যতই তেল মালিশ করুন না কেন মাথা টাকই থাকবে, চুল গজাবে না। আর আপনারা যতই আন্দোলন করুন না কেন সময় ১৫/২০ দিন এর বেশি পাবেন না। সুতরাং এই একমাস আন্দোলন এর পেছনে ব্যয় করে ১৫/২০ দিন সময় নেওয়ার চেয়ে আন্দোলন না করে ১ মাস সময় পড়াশোনায় ব্যয় করাটা কি আপনার উচিত নয় কি??????

আবারো প্রশ্নের উত্তর দিবেন বোকারা তর্ক করে কথাটা বাস্তব…….. প্রমান চান…….. আপনি একটা বোকা, কারন আপনি আন্দোলনে নামছেন। এতে আপনার কি হচ্ছে পড়াশোনা হচ্ছে না, বেশির ভাগ সময় টেনশন আর পরীক্ষা পেছানোর জন্য যা করা লাগে সেই সকল বুদ্ধি আটতেছেন। এতে আপনার ক্ষতি হচ্ছে এটা আপনি নিজেও টের পাইতেছেন না। আপনাদের অনেক সহচর আছে ৩য় বর্ষের যারা রুটিন পাওয়া মাত্র পড়াশোনা শুরু করেছে। আর আপনি রাজপথে নেমেছেন আন্দোলন করতে। যদি আপনার আন্দোলন সার্থক হয় তাহলে ১ মাস পরীক্ষা পেছানো হলো আপনি পড়ার সুযোগ পেলেন ১ মাস। অপরদিকে আপনার সহচর যিনি তিনি আন্দোলন না করে রুটিন পাওয়া মাত্র পড়াশোনা করে সময় পেল রুটিন দেওয়ার পর হতে এক মাস + আন্দোলনে ১ মাস পিছিয়ে আরো একমাস = ২মাস।।।।।।

আপনি যে বোকা তার প্রমান টা আশা করি নিজেই বের করতে পারবেন। আন্দোলন না করেও কিন্তু আপনি ১ মাসই পড়তে পারতেন। আর আন্দোলন করেও ১ মাস পাচ্ছেন। লাভ টা কি পাবেন আমাকে একটু বলে যাবেন। এবার আপনার ব্যার্থতা কি হতে পারে দেখে নিন……. আপনি পড়াশোনা বাদ দিয়ে পরীক্ষার একমাস আগে আন্দোলনে ব্যস্ত। আপনি আশায় আছেন জাবি একমাস কি ২ মাস সময় পিছিয়ে নিবে। ভাল কথা এখন যদি জাবি কোন আন্দোলন না মেনে তাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২০ তারিখ হতেই পরীক্ষা আরম্ভ হয় তাহলে আপনার কি হতে পারে আপনে নিজেই ভেবে দেখুন। পড়াশোনা না করে আন্দোলন করলেন কিন্তু তার ফল পেলেন না। যা হলো আপনার পড়া হলো না, পরীক্ষায় ফেল করলেন, আপনার লাইফ নষ্ট হলো।।।।

দরকার আছে কি এই আন্দোলন এর??? আমরা সবাই জানি জাবি এখন নতুন নিয়মে ক্রাশ নামক নিয়মনীতি অনুসারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এখন যদি আপনাদের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সমস্যায় পড়বে জাবি তা হলো অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা, ২য় বর্ষ, ২য় বর্ষ (বিশেষ) পরীক্ষা, ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষা সহ বিভিন্ন বর্ষের ডিগ্রি পরীক্ষার্থীরা। সুতরাং এতগুলো সেশন এর সমস্যা সৃষ্ট করে আপনাদের দাবি কিছুতেই জাবি মানবে না এটা নিশ্চিত থাকেন। যদি পেছায় ১৫/২০ দিন তার বেশি না। আর পরীক্ষার আগে ১ মাস আন্দোলন করে ১৫/২০ দিন সময় পিছানোর চাইতে ১মাস পড়াশোনা করে রুটিন মাফিক পরীক্ষা হওয়াটাই বেশি ভাল নয় কি????? এখনও সময় আছে পরীক্ষার আগে বাকি সময়টুকু আন্দোলন না করে পড়ায় মনযোগী হোন। দেখবেন ভাল কিছুই করতে পারবেন।।।।।।।।।

আপনাদের বোঝানোর মত নাঈমূর রহমান দুর্জয়ের ভাষা আর জানা নাই। যদি বিবেক থাকে বিবেক কে প্রশ্ন করুন আর দুর্জয়ের কথা গুলো একটু চিন্তা করুন দেখবেন বুঝ আপনার আসবেই।।।।।। আমি সবার ভবিষ্যৎ উজ্জল কামনা করি। সবার জন্যই আমার ফাটে কিন্তু আমার জন্য কারও ফাটে না। আমার ফাটে জন্যই আপনাদের বড়/ ছোট ভাইদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে যায়।।।।।।। যদি আমার আপনাকে পরামর্শ দিয়ে ভুল কিছু করে থাকি তাহলে ৩য় বর্ষের আন্দোলনকারী ভাইয়া আপুরা ক্ষমা করে দিবেন। .

আপনাদের আদরের ও স্নেহের ছোট ভাই

নাঈমুর রহমান দুর্জয়

সরকারি বাঙলা কলেজ,মিরপুর — ২য় বর্ষ





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*