১৯৫৯-৬০ : মৌলিক গণতন্ত্রের আবির্ভাব
আইয়ুব খান সিদ্ধান্ত নিলেন সামরিক শাসকের উর্দি ছেড়ে রাজনীতিবিদ হবেন। ’৫৯ সালে চালু করলেন “মৌলিক গনতন্ত্র” নামের এক নতুন ধারণা। ক্ষমতা ও ভোটাধিকার সীমাবদ্ধ থাকবে সারা দেশের (পাকিস্তানের দুই অংশ মিলিয়ে) আশি হাজার “মৌলিক গণতন্ত্রী”র (বি ডি মেম্বারের) হাতে। কারণটা খুব সোজা – সাধারণ মানুষের হাতে ভোটাধিকার থাকলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন – যেটা হয়েছিল ‘৫৪’র নির্বাচনে – কিন্তু স্বল্প সংখ্যক ভোটার থাকলে তাদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করা সহজ।
মৌলিক গনতন্ত্রের মোট পাঁচটি স্তর – প্রথমটি ইউনিয়ন কাউন্সিল, যেখানে প্রতিটি কাউন্সিলে দশজন সরাসরি নির্বাচিত এবং পাঁচজন নিয়োজিত সদস্য থাকবেন – যাদের বলা হত বিডি মেম্বার। এরপরেই ছিল “তহসিল” বা “মহাকুমা” (আজকের ভাষায় উপজেলা) কাউন্সিল; তার উপর জেলা জেলা প্রশাসকের নেত্রত্বে জেলা কাউন্সিল। এরপর বিভাগীয় কাউন্সিল এবং সবার উপর প্রাদেশিক গভর্নরের নেত্রত্বে প্রাদেশিক কাউন্সিল।
সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা আইয়ুব খানের এবার নির্বাচিত হবার পালা। তাও আবার দেশের আপামর জনসাধারণের ভোটে নয় – মৌলিক গণতন্ত্রীদের ভোটে। আর হ্যাঁ, নির্বাচনে তিনি ছাড়া আর কোন প্রার্থী থাকবেন না – ভোট হবে ইঙ্গিতে (“হ্যাঁ”/ “না” ভোট)। “হ্যাঁ” ভোট মানে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে “গনতান্ত্রিক” শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের নির্দেশনা আর “না” ভোট মানে হবে শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের কোন প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, আইয়ুব খানই দেশের শাসনকর্তা হিসেবে বহাল থাকবেন।
১৯৬০ সালের সেই নির্বাচনে আইয়ুব খান ৯৫.৬% ভোট “হ্যাঁ” ভোট পেয়ে “নির্বাচিত” হলেন।
1959-60 – The advent of “Basic Democracy”
The military ruler Ayub Khan decided to become a politician leaving his military uniform. The new concept of “Basic Democracy” was introduced in 1959. In the new form of “democracy” power and voting rights would be limited to some ~ 80,000 basic democrats across the country (including East and West Pakistan). The reason was very simple – it is difficult to control the voting decision of the common people – that happened during the ’54 Elections – but this is easier to control a limited number of voters.
The Basic Democracy system set up five tiers of institutions. The lowest but most important tier was composed of union councils, each union council comprised ten directly elected members and five appointed members, all called Basic Democrats (BD Members). The next tier consisted of the “tehsil” (sub-district) councils; then District Council headed by the District Commissioner, after that the Divisional Council and finally the Provincial Council headed by the Provincial Governor.
Now is the time for Ayub Khan to become the “Elected President” even though he himself took over power by Military Coup. Ironically he would be voted NOT by mass people but by this group of Basic Democrats who were getting all the benefits from his own Government. Also there would be no candidate except himself in the Elections! On top of that, it would be “vote of signal” not a “vote of support” and that signal is either “yes” or “no”. “Yes” vote would mean the withdrawal of the military regime and establishing a “democratic” constitution, and “no” vote would mean there is no need of this constitution. Well, whatever the election result is, Mr. Khan would remain as the ruler of Pakistan!
Ayub Khan received 95.6% “yes” votes in the referendum of 1960 and became the “Elected President” of Pakistan!!!
Leave a Reply