আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিজিটর! আশা করছি সবাই ভালো আছেন। লেখাপড়ার ব্যস্ততার মাঝেও যারা নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে খোঁজখবর করছেন, আজকের এই গাইডটি তাদের জন্য একদম পারফেক্ট। আমি জানি আপনারা আপনাদের নিজের NID নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। Voter Id card ডাউনলোড করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন তবে সঠিকভাবে গাইডলাইন পাচ্ছেন না , তাই আমরা এখানে নতুন পদ্ধতি স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরেছি। সহজেই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৫ করা যাবে।
আমি নিজেও কিছুদিন আগে আমার আইডি কার্ড ডাউনলোড করেছি, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লেখাপড়া বিডি ওয়েবসাইটে আপনাদের জন্য লিখছি এই পোস্টটি। এখানে একদম স্টেপ বাই স্টেপ দেখানো হবে কীভাবে আপনি নিজেই ঘরে বসে নিজের অনলাাইন এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন—তাও আবার নতুন নিয়ম অনুযায়ী! তাই ঝটপট দেখে নিন নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড 2025 পদ্ধতি।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
যারা বিগত কয়েকবছর আগে থেকে অথবা একদম নতুন ভোটার হয়েছেন , বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন বা আবেদন করেছেন কিন্তু এখনও এনআইডি কার্ড হাতে পাননি। NIDW ওয়েবসাইট হতে খুব সহজেই আপনাদের এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন হয়তো এই বিষয়টি এখনও অনেকেই জানেন না। তাই আমরা এই পোস্টে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি যাতে আপনারা খুব সহজেই আপনাদের ভোটার ফরম নাম্বার বা স্লিপ নাম্বার ব্যাবহার করে আপনাদের Voter ID Card Downoad করতে পারেন।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৫
অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৫ একদম সহজ। অনেকেই জানেন না বিধায় দ্বিধাদন্ধে পরে যায় এবং কি অনেক যায়গায় টাকা দিয়ে তারপর এই আইডি কার্ড ম্যানেজ করেন আবার অনেকেই নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভির জমান । তবে আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার ফোনের মাধ্যমেই একদিম ফ্রিতে বিনামূল্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। আমরা নিচে সম্পুর্ন পদ্ধতি শেয়ার করেছি।
🔍 নতুন সিস্টেমে কী পরিবর্তন?
আগে যেখানে শুধুমাত্র এনআইডি নম্বর ও জন্মতারিখ দিলেই কার্ড ডাউনলোড করা যেত, এখন সেটা আর হচ্ছে না। এখন QR কোড স্ক্যান করে দিতে হয় লাইভ ছবি, চোখ —মানে একটা Biometric Verification করতে হয় NID Wallet অ্যাপের মাধ্যমে। এটা অনেক বেশি নিরাপদ হলেও, প্রথমবার ব্যবহারকারীদের জন্য একটু জটিল মনে হতে পারে। তবে আমরা নিচে ছবি সহ বিস্তারিত দিয়েছি যাতে যে কেউ সহজেই বুজতে পারেন।
✅ Step-by-step: কীভাবে নতুন ভোটার আইডি ডাউনলোড করবেন?
- প্রথমে আপনার মোবাইল বা পিসি ব্রাউজারে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ ওয়েবসাইটে যান।
- সেখানে “রেজিস্টার” অপশনে ক্লিক করুন।
- আপনার ফরম নম্বর অথবা NID নম্বর, জন্মতারিখ এবং ক্যাপচা দিয়ে ফর্ম পূরণ করে সাবমিট করুন। এবার বর্তমান ঠিকাণা ও স্থায়ী ঠিকাণা সিলেক্ট করতে হবে। তারপর আপনাকে আপনার ফোন নাম্বার দেখাবে চাইলে নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন অথা ওই নাম্বারে ওটিপি পাঠাতে পারবেন।
- এরপর মোবাইলে একটি OTP আসবে, সেটা দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করে লগইন করুন।
- লগইন করার পর ড্যাশবোর্ডে গিয়ে “Download অপশন সিলেক্ট করুন।
- এখন একটি QR কোড শো করবে—এটিই মূল কাজের জায়গা।
উপরের ছবির মত সাবমিট করার পর নিচের ছবির মত দেখাবে যা আমি আগেই বলেছিলাম আপনার বর্তমান ঠিকাণা ও স্থায়ী ঠিকাণা সিলেক্ট করতে হবে এবার ।
এবার সব তথ্য দিয়ে সাবমিট দিলেই নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন। QR code যুক্ত একটি ছবি দেখতে পারবেন । এবার আপনাকে NID Wallet অ্যাপটি ডাউনলোড করে আপনার লাইভ ফেইস দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে যা আগেও বলেছি নিচে ছবিও দিয়েছি।
📲 QR কোড স্ক্যান এবং লাইভ ভেরিফিকেশন প্রসেস
এখন আপনাকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে যার নাম NID Wallet। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল অ্যাপ। এখানে আপনি স্ক্যান করে নিজের লাইভ ভেরিফিকেশন দিতে পারবেন।
- অ্যাপ নাম: NID Wallet
- ডেভেলপার: নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ
- ডাউনলোড লিংক: Google Play Store
✍️ স্ক্যান করার পর কী কী হয়:
- QR কোড স্ক্যান করলে প্রথমে ক্যামেরায় আপনার মুখের ছবি নিতে বলা হবে।
- এরপর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে বলা হবে এবং চোখ নাড়ালে সেটা রেকর্ড হবে।
- সব ঠিকঠাক হলে অ্যাপে লেখা আসবে “Verification Successful”।
📥 এবার ডাউনলোড করুন নিজের আইডি
ভেরিফিকেশন সফল হলে আবার Nidw.gov.bd ব্রাউজারে ফিরে যান, তখন ডাউনলোড অপশন চালু থাকবে। এবার আপনি এখানে আপনার নাম এনআইডি নাম্বার ও আপনার ঠিকাণা সহ আপনার প্রোফাইল দেখতে পাবেন। এছাড়াও এখানেই নিচের দিকে ডাউনলোড অপশন আছে। এখানে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে।
এই আইডি আপনি যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন—সিম রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক একাউন্ট, পাসপোর্ট ফরম, অনলাইন আবেদন, সবখানেই এটা চলবে।
📌 কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- এটা ফ্রেশ এনআইডি ডাউনলোড করার একমাত্র উপায়—ভিন্ন কোনো ওয়েবসাইটে যাবেন না।
- প্রথমবারের জন্য ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক।
- ক্যামেরা যদি কাজ না করে, তাহলে ভালো আলোতে চেষ্টা করুন বা মোবাইল বদলান।
🤔 কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
❓ OTP মোবাইলে আসে না, কী করবো?
👉 একটু সময় দিন বা অন্য সিম ট্রাই করুন। না এলে ১০৬ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করুন।
❓ QR কোড স্ক্যান করলে অ্যাপে কিছু হচ্ছে না?
👉 ইন্টারনেট কানেকশন চেক করুন, একবার অ্যাপ ক্লিয়ার করে আবার চালু দিন।
❓ ফেইস স্ক্যান বারবার ফেল করছে?
👉 আলো বেশি দিন, ক্যামেরার লেন্স পরিষ্কার রাখুন। মুখ নাড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
🔗 দরকারি লিংকগুলো একসাথে
উপসংহার:
বন্ধুরা, আজকালকার ডিজিটাল যুগে নিজের আইডি কার্ড নিজেই ডাউনলোড করা খুব সহজ হয়ে গেছে—তবে নিরাপত্তার জন্য কিছু ভেরিফিকেশন দরকার পড়ে, যেটা আসলে আমাদেরই উপকারে আসে। এবং আমরা এই পোস্টে ছবি সহ সকল স্টেপ গুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি যার কারণে যেকেউ এই স্টেপ গুলো ফলো করে NID National Id Card ডাউনলোড করতে পারবেন।
এই পোস্টটি লেখাপড়া বিডি (lekahporabd.net)-এর পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য তৈরি। আমাদের সাইটে এ রকম দরকারি সব পোস্ট নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। তাই ভিজিট করে রাখুন লেখাপড়া বিডি প্রতিদিন!