কিভাবে সঠিক নিয়মে পড়ালেখা করা যায়

By Md. Saroar khan Raaz

Published on:

Advertisements

ভালুকা,ময়মনসিংহ: সারোয়ার খান:–

কিভাবে সঠিক নিয়মে পড়ালেখা করা যায়? + পড়া মনে রাখার উপায়ঃ …….

১. পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করুন- কী পড়বেন,

কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন। প্রত্যেকবার

পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নিন। যেমন, এত

পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী।

২. বিষয়ের বৈচিত্র্য রাখুন। নিত্য নতুন পড়ার কৌশল

চিন্তা করুন।

৩. এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আগ্রহের একটা

সম্পর্ক আছে। এনার্জি যত বেশি মনোযোগ নিবদ্ধ

করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। আর অধিকাংশ

ছাত্রছাত্রীর দিনের প্রথমভাগেই এনার্জি বেশি

থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে

পড়াটা দিনে ১ ঘন্টায় পড়তে পারছে সেই একই

পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন,

বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই

পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। তবে

যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি

স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান

আপনার রুটিন।

৪. একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন। কারণ

গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা ২৫ মিনিটের

বেশি একজন মানুষ মনোযোগ দিতে পারে না। তাই

একটানা মনোযোগের জন্যে মনের ওপর বল প্রয়োগ

না করে প্রতি ৫০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের একটা

ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন। কিন্তু এ বিরতির সময়

টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত হবেন

না যা হয়তো ৫ মিনিটের নামে দুঘণ্টা নিয়ে

নিতে পারে।

৫. মনোযোগের জন্যে আপনি কোন ভঙ্গিতে

বসছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে আরামে বসুন।

অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া বন্ধ করুন। চেয়ারে

এমনভাবে বসুন যাতে পা মেঝেতে লেগে

থাকে। টেবিলের দিকে একটু ঝুঁকে বসুন। আপনার

চোখ থেকে টেবিলের দূরত্ব অন্তত দু ফুট হওয়া

উচিৎ।

৬. পড়তে পড়তে মন যখন উদ্দেশ্যহীনতায় ভেসে

বেড়াচ্ছে জোর করে তখন বইয়ের দিকে তাকিয়ে

না থেকে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তবে রুম ছেড়ে যাবেন

না। কয়েকবার এ অভ্যাস করলেই দেখবেন আর

অন্যমনস্ক হচ্ছেন না।

৭. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে বসুন এবং পড়তে

বসার আগে কোনো অসমাপ্ত কাজে হাত দেবেন

না বা সেটার কথা মনে এলেও পাত্তা দেবেন

না। চিন্তাগুলোকে বরং একটা কাগজে লিখে

ফেলুন।

৮. টার্গেট মতো পড়া ঠিকঠাক করতে পারলে

নিজেকে পুরস্কৃত করুন, তা যত ছোটই হোক ।

=========================

কিভাবে স্মৃতিশক্তির যত্ন নিবেন?

******************************

ইতিবাচক চিন্তা করুন: নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে

ঝেড়ে ফেলুন। সন্দেহবাতিক মন মস্তিষ্কের ক্ষতি

করে। মনের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগটা খুব

গভীর। তাই মনের পরিচর্যা করুন। নিজেকে

নিয়োজিত রাখুন সৃষ্টিশীল কাজে।

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করুন: ক্রোধ বা রাগ মন ও মস্তিষ্কের

শত্রু। আমরা যখন রেগে যাই তখন শরীরে নিঃসৃত হয়

বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা আমাদের

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

মেডিটেশন করুন: নিয়ম করে দিনের কিছু সময়

মেডিটেশন করুন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।

সম্ভব না হলে অন্তত সকাল-সন্ধ্যা খোলা ময়দানে

হাঁটুন। এ অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। স্মরণশক্তি মূলত

নির্ভর করে আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতার ওপর।

মেডিটেশন আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: সারাক্ষণ কাজ আমাদের

মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে তোলে। ক্লান্তি

মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন গড়ে ছয়-সাত ঘণ্টা

ঘুমান। দীর্ঘ কাজের ফাঁকে একটু ব্রেক দিন। কাজে

মনোনিবেশ করা সহজ হবে।

=================

পড়া মনে রাখার উপায়ঃ

****************************

১. আত্মবিশ্বাস:

———————

আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও

প্রধান শর্ত। মনকে বোঝাতে হবে পড়াশোনা

অনেক সহজ বিষয় আমি পারব, আমাকে পারতেই

হবে। তাহলে অনেক কঠিন পড়াটাও সহজ মনে হবে।

কোনো বিষয়ে ভয় ঢুকে গেলে সেটা মনে রাখা

বেশ কঠিন। আর পড়ালেখা করার উত্তম সময় হচ্ছে

ভোর। সকালে মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে।

২. কনসেপ্ট ট্রি

———————

পড়া মনে রাখার ভালো কৌশল হলো ‘কনসেপ্ট

ট্রি’। এ পদ্ধতিতে কোনো একটি বিষয়ে শেখার

আগে পুরো অধ্যায়টি সাতটি অংশে ভাগ করে

প্রতিটি অংশের জন্য এক লাইনে একটি করে

সারমর্ম লিখতে হবে। তারপর খাতায় একটি গাছ

এঁকে সাতটি সারমর্মকে গাছের একেকটি পাতায়

লিখে রাখতে হবে। পাতাগুলোতে প্রতিদিন

চোখ বোলালেই অধ্যায়টি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ

ধারণা পাওয়া যাবে। এটি একটি পরীক্ষিত

বৈজ্ঞানিক ধারণা। বাংলা ও ভূগোলের জন্য এ

কৌশলটি বেশি কার্যকর।

৩. কি ওয়ার্ড

———————

যেকোনো বিষয়ের কঠিন অংশগুলো ছন্দের

আকারে খুব সহজে মনে রাখা যায়। যেমন: রংধনুর

সাত রং মনে রাখার সহজ কৌশল হলো

‘বেনীআসহকলা’ শব্দটি মনে রাখা। প্রতিটি রঙের

প্রথম অক্ষর রয়েছে শব্দটিতে। এমনিভাবে

ত্রিকোণমিতির সূত্র

মনে রাখতে ‘সাগরে লবণ

আছে, কবরে ভূত আছে, ট্যারা লম্বা ভূত’ ছড়াটি

মনে রাখা যেতে পারে। এর অর্থ দাঁড়ায়,

Leave a Comment