২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯৭৯ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি ৩৬তম বছরে পা রাখছে।
৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হবে।
প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান। এ সময় প্রভোস্টরা নিজ নিজ হলে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করবেন।
পরে, সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবে।
১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ড. এ এন এ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রথম ভিসি নিয়োগ করে দু’টি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে মোট ৩০০ জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার।
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি অনুষদের অধীনে ২৫টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এ্যান্ড রিসার্চ নামে রয়েছে একটি ইনস্টিটিউট।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল সাতটি। এর মধ্যে ছাত্র হল চারটি ও ছাত্রী হল তিনটি। কিন্তু এই আবাসন সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। শুরুতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী এখানে আবাসিক সুবিধা পায়।
ইবি থেকে দেওয়া ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে- অনার্স: বিএ, বিটিআইএস, বিবিএ, বিবিএস, এলএলবি, বিএসএস, বিএসসি, মাস্টার্স: এমএ, এমটিআইএস, এমবিএস, এমবিএ, এমএসএস, এলএলএম, এমএসসি। উচ্চতর ডিগ্রি: এমফিল/ পিএইচডি।
এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি নিয়েছে ৪৩৪ জন এবং পিএইচডি অর্জন করেছে ২৬৮ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৫৯ জন শিক্ষক কর্মরত। শিক্ষার্থী রয়েছে ১০ সহস্রাধিক। পাশাপাশি প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
সৌজন্যেঃ বাংলানিউজ
Leave a Reply