ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ দশ দিন ধরে ছাত্রছাত্রীদের টানা আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হচ্ছে ক্যাম্পাসের পরিবেশ।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কলেজটির শিক্ষক ডা. হারুনুর রশিদ ও ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর এসএম নুরুল আমিনের নামে।
বার বার প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করায় মূল প্রকল্প ১৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা হতে ৩৪ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর নুরুল আমিন জানান, প্রকল্পের এ পর্যায়ে জেনারেটর স্থাপন, মাটিভরাট, ওয়াইফাই সম্প্রসারণসহ গার্লস হোস্টেলের উপর ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪র্থ ও ৫ম তলা এবং ৩১ লাখ ৯৫ হাজার
টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিষ্ঠানে ২৯ জন কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে কলেজটির উপাধ্যক্ষ ডা. আমিনুল ইসলাম ও ডিপিডি এসএম নূরুল আমিনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেছেন ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহেদ জোয়াদ্দার।
আন্দোলনের ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি অতিদ্রুত অনুষদ বাস্তবায়ন। অনুষদ বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন না।
প্রথম বর্ষের ছাত্র মারুফ আদনান জানান, কোন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক তারা চান না। শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে দুজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আবেদনপত্র দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন ওই শিক্ষকদ্বয়ের ব্যাপারে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অপরদিকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মানসী ভৌমিক জানান, ১৬ লাখ টাকার জেনারেটর আজো চালু করা হয়নি। আর দুর্বল ওয়াইফাই কোন কাজের নয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডা. হিরেশ রঞ্জনকে নতুন প্রকল্প পরিচালক পদে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো যোগদান করেননি।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ অনুষদ না হওয়া পর্যন্ত কলেজটির অচলাবস্থা দূর হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থী অবিভাবক ও এলাকাবাসী ।
এছাড়াও তারা কলেজটির দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক ড. হারুনুর রশিদ ও তার বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত শিক্ষক শহীদুল ইসলাম খোকনকে অতিদ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছে।
Leave a Reply